পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ খেলার জগৎ থেকে সাসপেন্ড করা হলো ভারতের জনপ্রিয় অ্যাথলেট দ্যুতি চাঁদকে। সূত্রের খবর, ডোপ পরীক্ষায় ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে ১০০ মিটারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন দ্যুতির শরীরে। আর সেই কারণেই সাসপেন্ড হলেন তিনি।
দ্যুতির বিরুদ্ধে ডোপিং-এর অভিযোগ উঠলে দ্যুতি এই পুরো বিষয়টিকে অস্বীকার করেন। দ্যুতির কথায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। তিনি কোনো নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহার করেননি। এছাড়া WHO থেকেও তাকে কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি।
তবে প্রতিযোগিতা চলাকালীন দ্যুতির শারীরিক কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। প্রতিযোগিতার বাইরে দ্যুতির মূত্র পরীক্ষা করে পাওয়া গিয়েছে নিষিদ্ধ সিলেক্টিভ অ্যান্ড্রোজেন রিসেপটর মডিউলেটরস। যা ছেলেদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে। এছাড়া পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। তার সাথে সাথে হাড়, পেশীও শক্তিশালী হয়। আর দ্যুতির মধ্যেই এই প্রভাব দেখায় তার মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর সেখান থেকেই দ্যুতির শরীরে স্টেরয়েড দেখা যায়। আর সেই নিয়েই অভিযোগ ওঠে দ্যুতির বিরুদ্ধে।
তবে দ্যুতিকে খেলার জগৎ থেকে একদম সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি পরবর্তী পরীক্ষায় নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি সাসপেন্ড থেকে মুক্ত হবেন। আর তা না হলে তিনি যতদিন না নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন ততদিনই সাসপেন্ড থাকবেন।
তবে খেলার কথা বলতে গেলে গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে গুজরাটে অনুষ্ঠিত জাতীয় গেমসের ২০০ মিটারে অংশ নিয়েছিলেন দ্যুতি। তবে ফাইনাল রাউন্ডে উঠতে পারেননি। এছাড়া তিনি দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের জন্য রুপো-ব্রোঞ্জের জোড়া পদক পেয়েছেন।
এই অভিযোগ ওঠায় দ্যুতি বলেন, এখনও অবধি ডোপিং এজেন্সি বা ফেডারেশন থেকে কোনও চিঠি আসেনি আমার কাছে। শুধুমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি ঘোরাফেরা করছে।