
পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ এই মুহূর্তে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রায় ১২০ টি ‘প্রলয়’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এগুলি মূলত চীন এবং পাকিস্তানের সীমান্তে মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে, এই প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ১৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। গত বছর ২১শে ডিসেম্বর এবং ২২শে ডিসেম্বর পরপর দু-বার ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল। শত্রুপক্ষের দ্বারা এই মিসাইলকে ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের মাধ্যমে বাধা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চীন ও পাকিস্তান উভয়ের কাছেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) দ্বারা তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আরও উন্নত করা হচ্ছে এবং বাহিনী চাইলে এর রেঞ্জ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারবে। ২০১৫ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিকাশ শুরু হয়। প্রয়াত সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত এই ধরনের বিকাশের উপর জোর দিয়েছিলেন।
‘প্রলয়’ ইন্টারসেপ্টর মিসাইলকে পরাস্ত করতে সক্ষম, এমনভাবেই এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। এটি আকাশে একটি নির্দিষ্ট পথ অতিক্রম করার পরে নিজের অভিমুখ পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। ‘প্রলয়’ মিসাইলটি প্রপেলান্ট রকেট মোটর এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তি দ্বারা চালিত। মিসাইলটির গাইডেন্স সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক নেভিগেশন এবং ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স।
মিসাইলটি প্রথমে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তারপর তা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আনা হবে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, এই জাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র দূরপাল্লার শত্রু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবটি এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন প্রতিরক্ষা বাহিনী একটি রকেট বাহিনী তৈরির দিকে কাজ করছে। যে বাহিনী দূর থেকে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।