পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হল সায়গল হোসেনের। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। বেশ কয়েক মাস টানাপোড়েনের পর আদালতের ছাড়পত্র পেয়ে তাকে দিল্লি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির গোয়েন্দারা।
এবার সেই সায়গল হোসেন এবং তার পরিবারের মোট ৩২ টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের এই প্রাক্তন দেহরক্ষীর বাজেয়াপ্ত হওয়া ৩২ টি সম্পত্তির মোট মূল্য প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
সায়গল হোসেন ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন পর সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। যদিও অনুব্রত মণ্ডলকে এখনো পর্যন্ত ইডি নিজেদের হেফাজতে নিতে পারেনি। তবে সায়গল হোসেনের বর্তমান ঠিকানা দিল্লির তিহার জেল।
ইডির তরফে গত মঙ্গলবার জানানো হয়েছে যে, সায়গল ও তার পরিবারের সদস্যদের মোট ৩২ টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকা। সায়গলকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই পরিমাণ সম্পত্তি সে কিভাবে তৈরি করল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ইডির গোয়েন্দারা। তবে ইডির অনুমান, এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গরু পাচারের টাকাতেই কেনা হয়েছিল।
গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ইডি মোট প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি অনুব্রত মণ্ডলের টাকাতেই বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ক্রয় করেছিল সায়গল হোসেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। তবে সব সম্পত্তির হদিশ এখনো ইডি পায়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে একজন পুলিশ কনস্টেবল কিভাবে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হতে পারেন। তদন্তকারী সংস্থা আপাতত সেই সম্পত্তিরই খোঁজ চালাচ্ছে।