চা ওয়ালার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকলো ৫ কোটি টাকা, news, india news
চা ওয়ালার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকলো ৫ কোটি টাকা, রহস্য জানলে অবাক হবেন !

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ চা ওয়ালার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকল ৫ কোটি টাকা। দৈনিক লেনদেন ৯০ লক্ষ টাকা। আজব মনে হলেও এটাই সত্যি। ঘটনাটি ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে।

জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে একটি চায়ের দোকান চালাতেন রাহুল মালভিয়া নামের এক যুবক। কিছুদিন আগে একদল লোক রাহুলের চায়ের দোকানে আসেন। তারপর তাকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা বেতনে মজার রিল বানানো এবং রিয়েল এস্টেট এ কাজ করার জন্য নিয়ে যান তারা। ইন্দোরের ওয়ার্ল্ডকাপ মোড়ে একটি হোটেলে তার থাকার ব্যবস্থা করে দেয়ায় তারা। ওই হোটেলে থেকেই মজার রিল বানানোর প্রশিক্ষণ চলছিল। তার মধ্যেই রাহুলের নামে খোলা হয়েছিল চারটি ব্যাংক একাউন্ট। সেখানে তিনি সপ্তাহ খানেক কাটানোর পর বাড়িতে চলে আসেন।

এরপর তিনি জানতে পারেন তার ব্যাংক একাউন্ট গুলিতে মোটা অংকের টাকার লেনদেন হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকার ট্রানজেকশন দেখে সন্দেহ হয় রাহুলের। যার কারণে তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ব্যাংকের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলার পর রাহুল সেই লোকেদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করেন এবং তিনি তাদের কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চান। কিন্তু কোনোভাবেই তা সম্ভব হয়না বরং তাকে বলা হয় যেমন চলছে তা যেন চলতে দেওয়া হোক। ওই যুবককে তারা বলেন যদি তার কোন টাকার প্রয়োজন থাকে, তাহলে তিনি ব্যাংক থেকে নিতে পারেন।। আর তাদের কথা মতোই ব্যাংক থেকে ১৮ লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন ওই যুবক।

চা ওয়ালার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকলে ৫ কোটি টাকা, news, india news
চা ওয়ালার ব্যাংক একাউন্টে ঢুকলো ৫ কোটি টাকা। রহস্য জানলে অবাক হবেন!

এরপর তিনি একটি বাড়ি কিনে তার মায়ের সাথে ওই বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। তবে সেই সুখ সইতে পারল না ওই যুবক। একটি চাওয়ালা এত দামি বাড়ি কিনলো কিভাবে? আশেপাশে মানুষের মনে সন্দেহ শুরু হয়। ওই যুবক পেশায় চাওয়ালা এবং তার মা-ধাবাতে কাজ করেণ। তাদের পক্ষে  এমন একটি বাড়ি কেনা তাজ্জব ব্যাপার। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় ওই যুবককে। যার কারণে তিনি থানার দ্বারস্থ হন এবং অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ওই যুবকের একাউন্ট থেকে প্রতিদিন ৯০ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হতো। সব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে ওই অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেন করা হয়েছে। এত টাকা কোথা থেকে আসছে এবং কোথায় যাচ্ছে ? কি কাজে লাগানো হচ্ছে এত টাকা ? এছাড়া এর পেছনে কারা রয়েছে গোটা বিষয়টি তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।