পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিশুর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠলো এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই শিশুকে ১০ মাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দায় নিয়ে ভুল স্বীকার করেছে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে। শান্তিপুর পৌরসভায় অবস্থিত বাসন্তী তলায় বাস করেন কুন্তল রায়। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। গত ২৫শে ডিসেম্বর কুন্তলবাবু ও তাঁর স্ত্রী তাদের ছয় মাসের পুত্র সন্তানকে নিয়ে ভ্যাকসিন দিতে যায় শান্তিপুর মেডিক্যাল কেয়ার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে যাওয়ার পর ডক্টর সুমন সরকার ওই শিশুকে ভ্যাকসিন দেন। শিশুকে পর পর দুটো ভ্যাকসিন দেওয়া হয় বলে জানান কুন্তল বাবু।
ভ্যাকসিন দেওয়ার পর কুন্তল বাবু দেখেন তার সন্তানকে যে দুটো ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে একটি মেয়াদ ১০ মাস আগেই পার হয়ে গিয়েছে। সেটা দেখার পরই তারা প্রতিবাদ করেন। কুন্তল বাবু জানান, তারা প্রতিবাদ করতেই হাসপাতাল কতৃপক্ষ ফ্রিজ খুলে অনেক ভাসিসিন বের করে নিয়েছে। তাদের ধারণা সরিয়ে ফেলা ভ্যাকসিনগুলি সব মেয়াদ উত্তীর্ণ। ঘটনার পর থেকেই সন্তানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিঘ্নে দিন কাটাচ্ছেন কুন্তল বাবু এবং তার পরিবার।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ভ্যাকসিন সরিয়ে ফেললেও, আগে কতজন শিশুকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তার কোনো হিসাব দেয়নি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা নিয়ে শিশুটির বাবা কুন্তল রায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিপুর থানায়।
চাপের মুখে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের হাত দিয়েই মূলত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। ওই চিকিৎসক ভুলবসত দিয়ে ফেলেছেন। ওনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অসুবিধা হলে অবশ্যই সাহায্য করা হবে। অন্যদিকে, ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক ভুল স্বীকার করে বলেছেন, তার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে চিকিৎসক হিসাবে। এই ধরনের ভুল কখনও হয় না। এবার ভুল হয়ে গিয়েছে।