cpim, westbengal politics, nobanno abhijan, নবান্ন আভিজান
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন নবান্ন অভিযান চালিয়েছিল। নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয় বাম যুবনেতা মইদুল ইসলাম মৃধা। আজ সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মইদুলের।

জানা গিয়েছে, মইদুল ইসলাম মৃধা ছিলেন বাঁকুড়া কোতুলপুর এর বাসিন্দা। নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশের প্রচন্ড মারে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, লাঠির প্রচন্ড আঘাতে শরীরের একাধিক জায়গায় মাংসপেশি ফেটে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাত পান তিনি। বুক, পেট ও পিঠে লাঠির প্রচন্ড আঘাত পান মইদুল এর ফলে তার কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করার পরও তাকে ফিরিয়ে আনতে পারলেন না। আজ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় ওই বাম যুবনেতার।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এটা মৃত্যু নয়, খুন। সরকার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। কিভাবে এই বাচ্চা ছেলেটাকে মেরেছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তার বুকে পিঠে প্রচন্ড আঘাত করেছে পুলিশ। চাপের মুখে পড়ে চিকিৎসকরা সবটা বলতে পারছেন না।” বামপন্থীদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশ যুবকদের উপর মাথা বুক লক্ষ্য করেই লাঠি চালিয়েছে। এবার মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বামফ্রন্ট।

শিল্প ও কর্মসংস্থান এবং সরকার বদল সহ নানা দাবিতে নবান্ন অভিযান এর ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। নবান্ন অভিযান এর মিছিল কে রুখতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে জলকামান ও ব্যারিকেড এর ব্যবস্থা করে। এর ফলে বাম কর্মী ও পুলিশের মধ্যে শুরু হয় তীব্র ধস্তাধস্তি। পুলিশ বাম কর্মীদের উপর লাঠি চালায়। সেই লাঠির আঘাতে মৃত্যু হল এক বাম যুব নেতার। সমাজের একটা বড় অংশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এবার প্রবল চাপের মুখে পুলিশ।