পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার ভোরে দিল্লীর কানঝাওয়ালা থানায় ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। একটি মহিলাকে গাড়ির চাকায় জড়ানো অবস্থায় দেখা যায় এবং চলন্ত গাড়িটি টেনে নিয়ে যায় ওনাকে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পর ওই এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পুলিশ মারফত জানা গিয়েছে, একটি গাড়ির ধাক্কায় ওই মহিলা মারা যায় এবং চাকায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর ওই গাড়িটি কয়েক কিলোমিটার রাস্তা টেনে নিয়ে যায় লাশটিকে। ঘটনার পর মৃত মহিলার জামা-কাপড় এমনকি শরীরের পেছনের অংশও ছিঁড়ে যায়।
রাত ৩.২৪ নাগাদ, কানঝাওয়ালা থানায় একটি পিসিআর কল আসে যে, একটি গাড়িকে একটি মৃতদেহ টেনে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। ভোর ৪.১১ নাগাদ আরেকটি পিসিআর কল আসে যে, রাস্তায় একটি মহিলার লাশ পড়ে আছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর গাড়িটির তল্লাশি শুরু করে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল রোহিণী জেলার ক্রাইম টিম পুলিশ। পুলিশ সেই স্থান পরিদর্শন করেছে এবং বিভিন্ন কোণ থেকে নানান ছবি তোলা হয়েছে। এরপর লাশ মঙ্গোলপুরীর এসজিএম হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আপাতত সন্দেহজনক গাড়িটিকে খুঁজে বের করে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, তারা সবাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। ধৃতদের নাম অমিত খান্না, কৃষ্ণা, মনোজ মিত্তাল এবং মিঠুন। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে মনোজ মিত্র স্থানীয় বিজেপি নেতা। এদের দাবি, সুলতানপুরী থানা এলাকায় তাদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ঘটনাস্থলে একটি স্কুটি দুর্ঘটনাপ্রবণ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তদন্ত করে পাওয়া গিয়েছে যে স্কুটিটি মৃতেরই ছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, পুলিশ প্রকাশ করেছে যে, মৃতের স্কুটিটি অন্য একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছিল, তারপরে তার পোশাকটি জট পাকিয়ে গিয়েছিল চাকার সাথে এবং তাকে কয়েক কিলোমিটার টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেই গাড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযুক্তদের এখন ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারা অ্যালকোহল পান করেছিলেন কিনা সেটি জানার জন্য। এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানী এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৭৯ এবং ৩০৪-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।