agnimitra paul, cattle smuggling in burdwan, cow smuggling caught by agnimitra paul, cattle smuggling, অগ্নিমিত্রা পাল, বর্ধমানে গরুপাচার, অগ্নিমিত্রা পালের হাতে ধরা পড়ে গরুপাচার, গরুপাচার কাণ্ড
বর্ধমানে বিজেপি-নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল এর হাতে আটক ৯টি গরু সহ একটি পাচারকারী ম্যাটাডোর

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ অগ্নিমিত্রা পাল একাধারে একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এবং বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার সকালে তিনি আসানসোল থেকে কলকাতা যাচ্ছিলেন। যাবার পথে বর্ধমানে গরু পাচারকারী একটি ম্যাটাডোরকে হাতেনাতে ধরলেন তিনি।

জানা গিয়েছে, অগ্নিমিত্রা পাল বর্ধমানে পৌঁছতেই দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বেচারহাট নামক স্থানে একটি সন্দেহজনক গরুবোঝাই ম্যাটাডোর দেখতে পান। গাড়িটি অগ্নিমিত্রার গাড়িকে ওভারটেক করে চলে যায়। ঠিক তখনই সন্দেহ হয় বিজেপি নেত্রীর। তৎক্ষনাৎ গরুবোঝাই ম্যাটাডোরটিকে আটকে পুলিশকে ও বিজেপি কার্যকর্তাদের ফোন করেন তিনি। ঘটনাস্থলে সকলে পৌঁছে শুরু করেন বিক্ষোভ। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের নজরদারির উপর।

অপরদিকে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু এই ঘটনা নিয়ে বলেন যে, বিজেপি রাজনীতি করার জন্য এই প্রকার পন্থা গ্রহণ করছে। এই গরুগুলি প্রধানত আসছে উত্তর প্রদেশ এবং বিহার থেকে। গরুপাচার করার সময় ওই রাজ্যের সীমানায় এদেরকে ধরা হচ্ছে না। কাজেই এরা খুব সহজেই ঢুকে পড়ছে বাংলায়। এখানে ধরা পড়ার কারণে বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে গরুপাচার চলছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুরুলিয়া থেকে গরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বর্ধমানের কুসুমগ্রামে। গাড়িতে থাকা ওই তিন ব্যক্তির কাছে কোনও বৈধ কাগজ-পত্র ছিল না। এই বিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তিনি কলকাতায় যাচ্ছিলেন সেই সময় গরুভর্তি গাড়ি তার গাড়িকে ওভারটেক করে এগিয়ে যায়। তখন তিনি দেখেন গাড়ির পিছনে গরুগুলিকে প্রচণ্ড কষ্ট দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। আর ওই ম্যাটাডোরে ৯টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে আবার দু’টি গরুর পায়ে আঘাতও লেগেছে। সেটা দেখেই সন্দেহ হয় আর তখনই ম্যাটাডোর আটকান তিনি।

এরপর নেত্রী গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওদের কাছ থেকে বৈধ নথি চান, কিন্তু ওরা কোনও নথি দেখাতে পারে না। এরপর গাড়ির চালক সহ দুই জন ব্যক্তি বারবার বলতে শুরু করে যে, তারা গরিব মানুষ, তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক। এরপরেই অগ্নিমিত্রা বর্ধমান থানার আইসিকে ফোন করে ডাকেন। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। ফলে কয়েকজন বিজেপির কর্মীকে ফোন করেন। তারা সেখানে উপস্থিত হবার পর পুলিশও আসে। তিনি পুলিশকে গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করতে বলেছেন।

এরপর অগ্নিমিত্রা অভিযোগ করে বলেন যে, পুলিশ সব জানে। গাড়ি চালক বিজেপি-নেত্রীর সামনে স্বীকার করেছে যে, বাঁকুড়া থানাকে ৯০০ টাকা ও পুরুলিয়া থানাকে ৮০০ টাকা দিতে হয়েছে গরু নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু গরু কোথা থেকে আসছে আর কে এগুলো পাঠিয়েছে তার নাম চালক বলতে চাননি।