পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে তার বিধ্বংসী রূপ নিয়ে আছড়ে পড়েছে গুজরাটের উপকূলে। প্রায় ১৮৫ থেকে ১৯০ কিলোমিটার গতিবেগে নিয়ে গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়েছে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গতবছর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান-এর চেয়েও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে।
তাউকটের প্রকোপ গোয়া, কেরল, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র ব্যাপক বৃষ্টিপাতের দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে। তবে গতকাল রাতে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে গুজরাট উপকূলে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ছোট-বড় ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। হাওয়ার গতিবেগ এতটাই তীব্র যে বড় বড় বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় তাউকটের প্রকোপে এখনো পর্যন্ত গুজরাটে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গিয়েছে ১৭ জনের।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বাই এর কাছে আরব সাগরের একটি বোট ডুবে যায়। ভারতীয় নৌবাহিনী ওই বোট থেকে ৬০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মুম্বাইয়ের বিমানবন্দর আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বাইতে এখনো পর্যন্ত খবর পাওয়া গিয়েছে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১২৭ জন নিখোঁজ। ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এর ৪৪টি টিম সেখানে কাজ করছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের প্রবেশ করলে কিছুটা তার গতি হারায়। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের গতি অবশ্য কিছুটা কমেছে। তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণি ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা কমলেও কেরল, কর্ণাটক, গোয়া, ও মহারাষ্ট্র তে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে ভারী বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
গতকাল রাত ৯ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত ব্যাপক তান্ডব দেখিয়েছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউকটে। আজ এই ঘূর্ণিঝড় রাজস্থানে প্রবেশ করবে বলে জানা গিয়েছে এবং আগামীকাল তার গতি বেগ ক্রমশ কমে গিয়ে দিল্লিতে পৌঁছে রাত ন’টা নাগাদ এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তার তান্ডব দেখানো বন্ধ করবে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় তার গতি কমালেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।