পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) আইএসআইএল (দায়েশ) এবং আল-কায়েদা নিষেধাজ্ঞা কমিটির অধীনে পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রেহমান মাক্কিকে একজন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। ২০২২ সালে ইউ এন এস সি কমিটির যখন আব্দুল রহমান মাক্কীকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছিল সেই বিষয়ে চীন বাধা প্রদান করায় ভারত কড়া ভাষায় তার নিন্দা জানিয়েছিল।
জাতিসংঘ একটি বিবৃতিতে বলেছে, ১৬ই জানুয়ারী ২০২৩-এ আইএসআইএল (দায়েশ), আল-কায়েদা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গোষ্ঠী উদ্যোগ এবং সত্ত্বা সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার উপর নিরাপত্তা পরিষদের কমিটি অনুমোদন দেয়। নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন 2610 (2021) এর অনুচ্ছেদ ১-এ উক্ত ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্ত, ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সাপেক্ষে আইএসআইএল (দায়েশ) এবং আল-কায়েদাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় উল্লেখ করা হয়।
ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই তাদের অভ্যন্তরীণ আইনে মাক্কিকে সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। মাক্কি ভারতে তথা বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরে, তহবিল সংগ্রহ, যুবকদের সহিংসতার জন্য নিয়োগ এবং উগ্রপন্থীকরণের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। এই মাক্কি হলো লস্কর-ই-তৈয়বা (LeT) প্রধান এবং সম্পর্কে ২৬/১১-এর মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের শ্যালক। সে এলইটি-এর তরফে সংগঠিত বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহেও ভূমিকা রেখেছেন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতে, ২০২২ সালে পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত মাক্কিকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার কাজে অর্থায়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এবং জেল হয়। তবে অতীতের বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের কালো তালিকাভুক্ত করার কাজে ইউএনএসির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। পাকিস্তান ভিত্তিক এবং জাতিসংঘ দ্বারা নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম)-এর প্রধান মাওলানা মাসুদ আজহারকে মনোনীত করার প্রস্তাবকেও বারবার বাধা প্রদান করেছিল চীন।