হাইকোর্ট, অভিজিৎ গাঙ্গুলি, শিক্ষা দপ্তর,
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর অফিসারদের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে শিক্ষা দপ্তর | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের কর্মীদের একশ্রেণীর কর্মসংস্কৃতি নিয়ে হাইকোর্টের কড়া প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট শিক্ষা দপ্তরের কর্মীদের একশ্রেণীর কাজের প্রতি উদাসীনতা নিয়ে করা মন্তব্য করলেন। কাজের শেষে, মাসের শেষে একগাদা টাকা মাইনে নেওয়ার পরেও কেন কাজের নামে ‘বাবুগিরি’ দেখানো অফিসারদের বেতন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি একটি মামলার পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, ”যাঁরা নিজেদের দায়িত্বের কাজটুকুও করেন না। অনুভূতিহীন নিজের কাজে। এই ধরনের সরকারি কর্মীদের কেন পে কমিশন মেনে বেতন, ডিএ দেওয়া হবে। এদের বেতনবৃদ্ধি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নয় আদালত।”

রাজ্যের সরকারি দপ্তরের অফিসারদের কাজের নামে ‘বাবুগিরি’ খুঁজে বার করতে একটি ভিজিলেন্স গঠন করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভিজিলেন্স এর কমিশনার প্রদীপ কুমার ব্যাসকে এই সমস্ত অলস অফিসারদের অনুসন্ধান করে বের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তারপর গোটা বিষয়টি নিয়ে ২০শে ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর মাড়োয়ারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন আশা শ্রীবাস্তব। তিনি গত ১লা অক্টোবর, ২০২০ সালে তার কর্মজীবন থেকে অবসর নেন। তিনি অবসর নেওয়ার পর ডিআই কলকাতা শিক্ষা দফতরে অবসর পরবর্তী সুযোগ সুবিধা এবং ডিএ সহ বকেয়া পাওনা টাকা পাওয়ার জন্য যাবতীয় নথি ডিআই পেশ করেন। তার প্রেরিত সমস্ত নথি পত্র কলকাতা ডিআই ২০২০ সালে ২০ই অক্টোবরে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনকে পাঠায়। কিন্তু তার সেই নথি ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর থেকে বিলিং সেকশনে পড়ে ছিল বলে আদালতে জানায় ভিজিলেন্স।

এই ঘটনা নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। কলকাতা হাইকোর্ট এদিন বলেন, কোভিডের অজুহাত দিয়ে আর কতদিন চলবে ? কোভিডের সময় যথেষ্ট ভালো কাজ হয়েছে ? কিন্তু কোভিড এখন কোথায় ? একজন প্রাক্তন শিক্ষিকার প্রাপ্ত বকেয়া পেতে এত দেরী কেন হবে ? কোভিড দিয়ে কিছু ঢাকা যাবে না। ২০২০ সালের ৯ই নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত একটা চিঠি কেন পড়ে ছিল? কোর্ট নির্দেশ দিল, তারপরে সেই চিঠি পাওয়া গেল ?