পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ– কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক-রুজিরা। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। নতুন বছরের শুরুতেই এই মামলার শুনানি হতে পারে। অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী ১৩ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হতে পারে।
ডিসেম্বর মাসে রাজ্যে কিছু একটা ঘটনা ঘটার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ডিসেম্বরের ১২, ১৪ ও ২১ তারিখ গুলির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। আর ঘটনাচক্রে, ১২ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক ও রুজিরার মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ ছিল। সোমবারই হাজরায় একটি সভা ছিল নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়কের। ১৪ই ডিসেম্বর দিল্লি হাই কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের মামলারও শুনানি আছে।
কিছুদিন আগে কাঁথিতে যে মাঠে সভা করেছিলেন অভিষেক, ২১শে ডিসেম্বর সেই মাঠেই সভা করতে চলেছেন শুভেন্দু। এরই মধ্যে জানা গেল, ১২ তারিখ অর্থাৎ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক রুজিরা মামলার শুনানি হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে বেশ কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে গিয়েছে ইডির। অতীতে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শমন পেয়ে দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু দিল্লিতে ইডি দফতরে যাননি তার স্ত্রী। তার পরিবর্তে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স স্থিত ইডির দফতরে হাজিরা দেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেকের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তার বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রেও সকল বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হয়। ইডির তলব নিয়ে বিজেপিকে প্রতিবারই দায়ী করছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইডি, সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে যাঁরা স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান, তাঁদের বলতে চাই, আমি আমার একফোঁটাও বিচলিত হবো না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। কিন্তু ইডি-সিবিআইয়ের কাছে মাথা নোয়াব না।’’ অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ আসলে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে তৃণমূল সরকার।