পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ NABARD-এর ২০২৩-২৪-এর বার্ষিক রিপোর্টে উঠে এলো এক নতুন তথ্য। রপ্তানির পারফরম্যান্সে গুজরাট এগিয়ে থাকলেও ঋণদানের ক্ষেত্রে গুজরাটকে হারিয়ে এগিয়ে গেল দিল্লি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ। গত সপ্তাহের প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই উঠেছে। জাতীয় গড় ০.৬৫ চেয়েও অনেক বেশি ঋণদান করেছে দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ।
রিপোর্ট মাধ্যমে জানা গিয়েছে, রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখল করেছে গুজরাট। তবে রপ্তানিকারকদের ঋণদানে শীর্ষস্থান দখল করেছে দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ। নীচে নেমে গিয়েছে গুজরাট। গত সপ্তাহে প্রকাশিত নাবার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ রপ্তানিকারকদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে গুজরাটের থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর জানা গিয়েছে, গুজরাটে মোট যে পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশেই রয়েছে পাঁচ থেকে ছয়টি পণ্য। সেগুলি হল পেট্রোলিয়াম পণ্য, জৈব রাসায়নিক, কৃষি রাসায়নিক, ওষুধের ফর্মুলেশন, রং এবং প্লাস্টিক সামগ্রী। তবে ঋণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুজরাটকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টের মাধ্যমে IFSC এক্সচেঞ্জ ব্যবহারে উৎসাহিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঋণদানের পারফরম্যান্সে গুজরাট অনেকটাই পিছিয়ে আছে। ফলস্বরূপ, রপ্তানির হার বাড়লেও ঋণদানের ঘাটতির অভাবে অনেকটাই সেই রপ্তানির হার কমেছে বলে উল্লেখ করেছে নাবার্ড রিপোর্ট।রাজ্যগুলি নিজ রাজ্যের মোট জিডিপির ৫.৩১ শতাংশ, ২ শতাংশ এবং ১.০৮ শতাংশ রপ্তানিকারিদের ঋণ দান করে। যা গড় ঋণের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। ফলে সে দিক থেকে ঋণদানের ক্ষেত্রে নীচে নেমেছে গুজরাট। তবে ঋণদান বাড়ানোর ক্ষেত্রে রিপোর্টের মাধ্যমে গুজরাটকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
