siliguri, শিলিগুড়ি, Md Ansarul, Renuka Khatun
আফতাব-শ্রদ্ধার ছায়া এবার বাংলাতেও ! নিজের স্ত্রীকে টুকরো করে জলে ভাসালো স্বামী

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- বছর শুরুতেই শিলিগুড়ি এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল। যে স্বামী বিবাহের সময় তার স্ত্রীর ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, আজ সেই স্বামী স্ত্রীকে নিজের হাতে খুন করে মহানন্দা ক্যানেলে স্বগর্ভে ভাসিয়ে দিয়ে এলেন। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ৪৩ নম্বর রোডে। ধৃতের নাম এমডি আনসারুল, পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রী।

মোটেই নতুন নয়, প্রায় ছয় বছর কেটে গেছে বিয়ের। এমনকি সাড়ে তিন বছরের একটি ছোটো বাচ্চাও রয়েছে। তাদের পারিবারিক সূত্রের খবর বিয়ের পর খুব বড়সড়ো ঝামেলা না হলেও, টুকটাক অশান্তি লেগেই থাকতো। আনসারুল এর স্ত্রীর নাম রেনুকা খাতুন। তিনি নতুন পেশায় নিযুক্ত হবেন বলে বিউটিশিয়ান কোর্স শিখছিলেন কলেজপাড়ায়। আনসারুলের মনে হঠাতই সন্দেহ জাগে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তার মনে হতে লাগে যে, স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে প্রেম ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।

সেদিন ছিল ২৪শে ডিসেম্বর। রেনুকা যথারীতি কলেজপাড়ায় গিয়েছিলেন তার কোর্সের দরুন। তবে সময় পেরিয়ে গেলেও রাতে বাড়ি ফেরেননি রেনুকা। বাড়ি না ফেরায় পরিবারের শোরগোল পড়ে যায়। রেনুকার বাবা নিজে গিয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি লেখান। গত বুধবার শিলিগুড়ি থানার পুলিশ রেনুকার স্বামী আনসারুলকে থানায় নিয়ে আসেন এবং নানা প্রশ্নে জেরবার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদের পর যতটুকু অনুমান করা যায় তার ভিত্তিতেই পুলিশ জানিয়েছেন যে, স্বামী আনসারুলই নিজে হাতে প্রথমে ছুরি দিয়ে হত্যা করেন তার স্ত্রীকে। তারপর দেহটিকে দু’টুকরো করেন। মাথার অংশটাকে আলাদা করে একটি বস্তায় ভরে মহানন্দা ক্যানেলে ভাসিয়ে দেন। তারপর দেহের বাকি অংশ অপর একটি বস্তার মধ্যে পাথরসহ ভোরে জলে ভাসান।

এই অস্বাভাবিক হত্যার ঘটনা শুনে আতঙ্কিত রেনুকার পরিবার। রেনুকার বাবা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শিলিগুড়ি পুলিশের কাছে এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন।