পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসলো অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে। তবে এবার খবরটি পিতা নয় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে। এর আগে গরু-পাচার কান্ডে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাংক একাউন্টে এক কোটি টাকার হদিস মেলে। জানা যায়, তিনি ওই টাকা লটারি কেটে জিতেছিলেন। কিন্তু এবার বাবার একাউন্ট ছাড়াও মেয়ের একাউন্টেও পরপর দু’বার লটারির টাকা ঢুকেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
এই রহস্য ভেদের জন্য গত সপ্তাহে সিবিআই বোলপুরের একটি লটারির দোকানে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে হানা দিয়েছিল। ‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ নামক লটারির দোকানের বিক্রেতা এবং দোকানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা। সেই দিনই বিকেল নাগাদ বোলপুরের আরেকটি লটারির দোকানের বিক্রেতাকে ক্যাম্পে ডাকে সিবিআই। বিক্রেতার নাম শেখ মুন্নার। তাকে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদের পর আহরিত তথ্যসমূহ সিবিআই নিজেদের কাছে জমা রাখে।
সিবিআই এর দাবি, একই পরিবারের সদস্য হয়ে বারবার এভাবে লটারি জেতার ব্যাপারটা সন্দেহজনক। সাধারণ একজন ব্যক্তি লটারি কিনে টাকা জেতার জন্য দেউলিয়া হয়ে যায়। কাজেই অনুব্রত মণ্ডল এবং তার কন্যার এইভাবে বারংবার লটারি জেতার ঘটনাটির আরো তদন্তের প্রয়োজন। সূত্রের খবর, সিবিআই বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তার কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও তাদের পরিবারের বিভিন্ন লোকজনদের ব্যাংক একাউন্ট বিষয়ক তথ্য খতিয়ে দেখা শুরু করেছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ২০২১ সালের ৭ই ডিসেম্বর মাত্র ৬ টাকার টিকিট জিতে অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাংক একাউন্টে ১ কোটি টাকার লটারি ঢোকে। কিন্তু এইবার তার মেয়ে সুকন্যার একাউন্টে প্রথমবার ২৫ লক্ষ এবং তার পরের বার ২৬ লক্ষ টাকার লটারির পুরষ্কার ঢুকেছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের ধারণা, গরু-পাচার কান্ডের টাকা ব্ল্যাক থেকে হোয়াইট করার জন্যই এই ধরনের লটারির জাল বোনা হয়েছে। অন্য লোকের লটারি নগদ টাকা দিয়ে কিনে তা অনুব্রত এবং সুকন্যার নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, লটারির সঙ্গে নির্ঘাত তৃণমূলের কোন না কোন সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণ মানুষ লটারির টিকিট কিনে ফতুর হয়ে যাচ্ছে। আর বাম্পার পুরস্কার নিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই সিবিআই আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।