odisha electric bill, odisha electricity
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ প্রতিদিনই ইলেকট্রিক বিলের ইউনিট এর দাম পরিবর্তন হয়। তবে একটি বাল্ব জ্বালিয়ে ১২,০০০ টাকা বিল এল এক ব্যক্তির। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওড়িশার কালাহান্দি এলাকায়।

ওড়িশার কালাহান্দি এলাকায় বসবাসকারী এক বাসিন্দার ইলেকট্রিক বিল এল বারো হাজার টাকা। বিল হাতে পেয়ে চক্ষুচড়কগাছ ওই ব্যক্তির। তিনি জানিয়েছেন ঘরে একটি মাত্র বাল্ব জ্বলে। একটি বাল্বে কত পরিমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেন, একটি বাল্ব জ্বালিয়ে ১২,০০০ টাকা ইলেকট্রিক বিল কিভাবে আসে ?

ওড়িশার কালাহান্দি এলাকায় সাধারণত দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রশ্ন করেন, ঘরে একটিমাত্র বাল্ব জ্বালালে তাহলে কিভাবে ১২ হাজার টাকা বিল আসে ? এ ছাড়াও আরেক জন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, ‘আমার বাড়িতে আমি একটি মাত্র বাল্ব ব্যবহার করছি। বৈদ্যুতিক বিল হিসেবে আমরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দিতে পারি। হঠাৎ করে এমন ১২০০০ টাকা বিল কিভাবে আসে’।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মহামারী করোনার সময় এলাকায় একবার এসে ৫০০ টাকা ইলেকট্রিক বিল জমা নিয়েছিল। পাঁচ ছয় মাস পর এখন আমাদের ইলেকট্রিক বিল ১২,০০০ টাকা জমা দিতে বলছে। একজন জানিয়েছেন, ‘আমি বিপিএল ক্যাটাগরিতে পড়ি। সেই জন্য আমি উজালা যোজনা থেকে বিদ্যুত সংযোগ পেয়েছি। একটি মাত্র তার আছে আমার বাড়িতে। এখনো পর্যন্ত আমার বাড়িতে মিটার পৌঁছায়নি । আমি বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করতে চাই। বিদ্যুৎ মন্ত্রী ধনীদের জন্য নাকি দরিদ্রদের জন্য’।

একটি বাল্ব জ্বালিয়ে ১২ হাজার টাকা বিল ধার্য করায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শশাঙ্ক মিশ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ওড়িশার কালাহান্দি এলাকার বাসিন্দারা।

ইতিমধ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন এত টাকা বিল আসলো। অনেকে বলছেন, মহামারী করোনার মধ্য দিয়ে অনেক টাকা লস হয়েছে কোম্পানির এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে বৈদ্যুতিক পোস্টার ও বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে । সেই ক্ষতিপূরণ এভাবেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পরিমাণে বিল ধার্য করাই সমালোচনা শুরু করেছে সরকারের বিরুদ্ধে।