পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ৩০শে ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গে যাত্রা শুরু করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই একাধিক বার আক্রমণের শিকার হল এই ট্রেন। মালদহের কুমারগঞ্জের পর আবার ট্রেনের জানলা লক্ষ্য করে ছোড়া হল পাথর। পরপর দু-দিন একই ঘটনা ঘটায় এবার বন্দে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে।
সোমবার প্রথম বারের মতো বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়। তারপর আবার গতকাল নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া আসার সময় মালদা ঢোকার পর ব্যাপারটি খেয়াল করা হয়। পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় ট্রেনের কাঁচের দরজা। যদিও এই ঘটনায় কোনো যাত্রী আহত হয়নি। তবে পর পর দু-বার এই ধরনের আক্রমণের ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
সোমবার কুমারগঞ্জ স্টেশনে পাথর ছোড়ার পর মঙ্গলবারে এনজেপি স্টেশনে ঢোকার সময়ে ঘটে আবার সেই একই ঘটনা। পাথর ছোড়ার ফলে ট্রেনের সি-৩ এবং সি-৬ কামরার কাঁচের জানলাগুলিতে চিড় ধরে যায়। এরপর মঙ্গলবার রাতে ওই ট্রেন হাওড়া স্টেশনে পৌঁছায়। তারপর ঐ ট্রেনের যাত্রীরা রেলের কাছে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তোলে। ওই দিন নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কের ছাপ দেখা যায় যাত্রীদের চোখে মুখে।
নির্দিষ্ট কোন সময়ে ট্রেনে আক্রমণ করা হয়েছে, তা প্রথমে জানা যায়নি। তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে, আপে এনজেপি যাওয়ার সময় দুপুর দেড়টার আগে পাথর ছোড়া হয়েছিল ট্রেন লক্ষ্য করে। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই নিউ জলপাইগুড়ি রেল ইয়ার্ড এলাকায় পাথর ছোড়া হয়। এ বিষয়ে আরপিএফের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে গিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা একে একে দোষারোপ করতে শুরু করে দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, বন্দে ভারতে যারা পাথর ছুড়েছে তাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম, কোচবিহার হয়ে এবার বাংলায় বুলডোজার ঢুকছে। হাওড়ায় ওঠা স্লোগানের বদলা নিতেই ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়েছে। শাসক দলের এক প্রতিনিধির মতে কোনও ট্রেনেই এভাবে পাথর মারা উচিত নয়৷ তার মতে বাংলাকে বদনাম করতে ইচ্ছাকৃত চক্রান্ত করে ট্রেনে পাথর ছোড়া হচ্ছে বার বার।