পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে চলছে পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ। তারই মধ্যে বঙ্গে জোড়া সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজকে আসানসোলে একটি সভা করেছেন তিনি এবং অপরটি করেছেন গঙ্গারামপুরে।
আসানসোলের সভামঞ্চ থেকে ২’রা মে-এর পর কি হতে চলেছে তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দিদি ও দিদি, আর ১৫ দিন। ১৫ দিন পরে কি হবে?” বঙ্গে প্রতিটি দফার ভোটের কথা তুলে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “বাংলার মানুষ প্রতি দফার ভোটে দিদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট ধরাচ্ছেন। ২’রা মে-এর পর ওই সার্টিফিকেট নিয়েই দিদিকে ঘুরতে হবে।”
আজ আসানসোলের নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করল ঘাসফুল শিবিরকে। আজ শনিবার আসানসোলের জনসভা থেকে সাফ সাফ বললেন, “বিজেপি সরকার রাজ্যে ভাইপো ট্যাক্স বন্ধ করবে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসানসোল, বারাবনি, সালানপুর জুড়ে কয়লা খনি অঞ্চল তৃণমূলের শাসনাধীনে, এই খনি অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কয়লার মাফিয়া-রাজ। শুধু খনি থেকেই নয়। এই এলাকার সমস্ত যানবাহন চালকদেরও দিতে হয় ভাইপো ট্যাক্স। বিজেপি সরকার রাজ্যের এই ভাইপো ট্যাক্স বন্ধ করবে। পুলিশ ও প্রশাসন মানুষের জন্য কাজ করবে। রাজ্যে ফিরবে আইনের শাসন। কেউ অন্য খেলা করতে চাইলে, আইন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
আম জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিদি যদি রাজ্যের মানুষের ভালো চাইতেন, তাহলে দিদি তোলাবাজি এত বাড়তে দিতেন না। সিন্ডিকেট বাড়াতে দিতেন না। কাটমানি সংস্কৃতি বাড়াতে দিতেন না। উন্নয়নের পথে দিদি একটা বড় বাধা, বড় পাঁচিল।”
এরপর তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জেদ ও অহঙ্কারের কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের জন্য বৈঠক ডেকেছি। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বৈঠক ডেকেছি। কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য বৈঠক ডেকেছি। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ওই বৈঠকে এসেছেন কিন্তু দিদি কোন বৈঠকে আসেননি। কোনো না কোনো বাহানা দেখিয়ে দিদি বৈঠকগুলো এড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকি করোনা মোকাবিলায় ডাকা বৈঠকেও আসেননি তিনি। এত অহঙ্কার দিদি!”
এদিনের সভামঞ্চ থেকে দিদির উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “দিদি জেনে গিয়েছে তিনি আর জিতবেন না। সেই জন্যই তিনি কেন্দ্র বাহিনীকে বদনাম করছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। শীতলকুচির ঘটনায় দিদির অডিও টেপ আপনারা শুনেছেন। ভোটের স্বার্থে তিনি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন। ভোটারদের মধ্যেও সমীকরণের চেষ্টা করছেন।”
আসানসোলের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিন বছর আগের কথা মনে করিয়ে দিলেন আসানসোলবাসী দের কে। তিনি বলেন, “তিন বছর আগের রামনবমীর কথা মনে আছে? কার জন্য আসানসোলে সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছিল? কার জন্য আসানসোলের ছোট্ট দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছিল? কে দায়ী এই হিংসার জন্য? এই প্রশ্নের একটাই উত্তর, দিদি!”