পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় কে নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ফলে তিন গতকাল নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্নায় বসে ছিলেন। গান্ধী মূর্তির পদদেশে ধর্নায় বসে তৃণমূল নেত্রী বেশ কয়েকটি ছবি আঁকেন।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ বুধবার সকালে বর্ধমানের নিলপুরে “চায় পে চর্চা”-য় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে কটাক্ষ করে বলেন, “”২’রা মে-এর পর শুধু ছবিই আঁকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। আর কোনো কাজ থাকবে না। তাই অভ্যেস করুন।”
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে রসিকপুরে দিলীপ ঘোষের র্যালিতে হামলা হয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিভিন্ন জায়গাতে গন্ডগোল করছে গুন্ডারা। তবে ভয় দেখিয়ে এবার আর ভোটারদের প্রভাবিত করা যাবে না। আর আমরা কারো দলীয় কার্যালয়ে হামলা করিনা। কালকে ওরা হামলার চেষ্টা করেছিল। আমাদের ছেলেরা ওদেরকে আটকছে। তারপর যা করার সাধারণ মানুষই করেছে।’
এদিন নাম না করে ঘাসফুল শিবিরের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি দিয়ে দিলিপ বাবু বলেন, “রাজ্যের কোথাও এই গুণ্ডামির রাজনীতি আমরা চলতে দেব না। জঙ্গলমহলে দিদিমনির দোকান বন্ধ হয়েছে। এবার বর্ধমানের দোকানটা বন্ধ করে দেব। বিরোধী হিসেবে দুই-একটা আসন ছেড়ে দেবো আমরা। বীরভূম থেকে গুন্ডারা এসে এখানে অত্যাচার করছে। বহু অত্যাচার সহ্য করেছে বর্ধমানের মানুষ। আর অত্যাচার সহ্য করতে হবে না।”
প্রসঙ্গত, একটি সভায় তিনি বলেছিলেন, “জাগায় জাগায় শীতলকুচি হবে।” এই মন্তব্যের জেরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শো-কজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে এই বক্তব্যের থেকে বিরত থেকে একই সুরে বললেন, “যারা শীতলকুচি করেছিল, তারা হেরে গিয়েছে। প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কোন ভোটারকে কেউ আটকাতে পারবেনা। ভোটদানে কেউ বাধা দিতে পারবে না। যদি কেউ মারপিট করতে যায় তাকে তো ফল ভুগতেই হবে। কেউ যদি ভাবে তারা তাদের মতো ভোট করে নেবে, সেটা হবে না।”