পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর হাওড়া স্টেশনে উদ্বোধন হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। আর তারপর থেকেই সপ্তাহে ছয়দিন করে শুরু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা। তবে পরিষেবা শুরু হতে না হতেই অভিযোগের তালিকায় নাম উঠে এলো এক্সপ্রেস ট্রেনের। শৌচাগার, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ তুললেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রেনযাত্রীরা।
পশ্চিমবঙ্গের এই প্রথমবার হাই-স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন চলছে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু শুরুর দিকেই অভিযোগ উঠল এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে। যাত্রীদের অভিযোগ, এই ট্রেনের অনেক পরিষেবাই ঠিকঠাক নয়।
অভিযোগের লিস্টটিও যথেষ্ট লম্বা। কোথাও পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পাওয়া যাচ্ছে না শৌচাগারে, আবার কোথাও মিলছে না ওয়াইফাইয়ের সুবিধা। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন নিরাপত্তা নিয়েও। ট্রেনযাত্রীরা জানিয়েছেন, সেদিন এই এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন উটকো মানুষ।
এছাড়া গত রবিবার যাত্রীদের খাবার দিতেও দেরি করেছেন ট্রেনের কর্মীরা। ফলে শুরুর প্রথমেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে কিন্তু কিন্তু মনোভাব দেখা দিচ্ছে ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের বক্তব্য, দুই কামরার মাঝখানের কাঁচের দরজা খোলা যাচ্ছিল না সেদিন। ফলে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে।
তবে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার যথেষ্ট প্রশংসা পাওয়া গিয়েছে। রবিবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দিকে রওনা দেয় ভোর ৫ঃ৫০ মিনিটে। রওনা দেওয়ার দু’ঘণ্টা আগেই স্টেশনের ১১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে হাজির হয় ট্রেন।
ভারতের এই হাই স্পিড ট্রেনে ভ্রমণ করা নিয়ে খুবই উৎসাহ ছিল ট্রেনযাত্রীদের মধ্যে। তবে প্রথম দিনেই ট্রেনযাত্রীরা অভিযোগ তোলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভিতরের কিছু সমস্যা নিয়ে। তবে অন্যদিকে, রেলের যন্ত্রাংশ সংস্থার এক কর্মী বলেছেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যন্ত্রাংশ ও সফর নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সময়ের আগেই পৌঁছে যাচ্ছে এই এক্সপ্রেস।