পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের শীতলকুচি। কোচবিহারের শীতলকুচি এর জোড়াপাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন ৪ জন।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জন তৃণমূল কর্মীর এবং আহত অবস্থায় রয়েছেন আরও ৪ জন। মৃত ব্যাক্তিরা প্রত্যেকেই তৃণমূল সমর্থক ছিলেন বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখে দেখে তৃণমূল কর্মীদের ওপরই হামলা চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে ইতিমধ্যেই।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ওই এলাকায় সমস্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারদের মদ মাংস খাইয়ে রেখেছে। ওই জন্য কোন কারন ছাড়াই তৃণমূল কর্মীদেরকে খুন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কন্ট্রোল করার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই ঘটনায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঘাস ফুলের দিকেই আঙুল তুলেছেন সাংসদ নিশিত প্রামানিক। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন ‘কেন্দ্র বাহিনীকে ঘেরুয়া করে রাখবেন এবং ভোটটা তৃণমুলকেই দিয়ে আসবেন’। যার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় দ্রুত একশন টোকেনের রিপোর্টি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুনঃ- ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু ১৮ বছরের যুবক, লজ্জার মুখে বাংলা রাজনীতি
সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জোড়াপাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে দুই দলের মধ্যে তীব্র অশান্তি হচ্ছিল। প্রায় ১০০ জনের মতো মানুষের জমায়েত ছিল সেখানে। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তাদের দিকে আক্রমণ করতে এগিয়ে আসে এক ঝাঁক লোক। তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং তার জন্যই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা।