করোনা ভাইরাস, coronavirus, third wave
ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ, থার্ড ওয়েভের থাবার আশঙ্কায় চিন্তার মুখে ভারত | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- কিছুদিন আগেই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা প্রায় সামলে উঠেছিল দেশ। কিন্তু বেশিদিন এই মহামারীকে দমিয়ে রাখা গেল না। ফের করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নতুন বিপদ সংকেত দিচ্ছে। করোনা যেভাবে ফের বেড়ে চলেছে, তাতে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, খুব শীঘ্রই তৃতীয় ঢেউ অথবা থার্ড ওয়েভ থাবা বসাতে পারে দেশে।

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭,০৯২ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫০৯ জন। এর আগে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু এখন এই সংখ্যা বেড়ে ৪৭ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। ফলে আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খুব শীঘ্রই এই মহামারীর রাশ টানতে না পারলে ফের প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত। টিকাকরন পদ্ধতি আরো দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে, যাতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও ক্ষতির পরিমাণ পূর্বের তুলনায় কম হয়।

করোনা আতঙ্কের মাঝেই উত্তরপ্রদেশে এক নতুন সংকটের উদ্ভব হয়েছে। সেটি হল স্ক্রাব টাইফাস। এক ধরনের পোকার কামড় থেকেই এই রোগের উৎপত্তি। সারা শরীরে প্রথমে র‍্যাশ বেরোচ্ছে, তারপর ১০ দিনের মধ্যে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই অজানা রোগের শিকার হয়েছেন।

একদিকে করোনা এবং অন্যদিকে এই অজানা রোগ উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনকে চিন্তার মুখে ফেলে দিয়েছে। পূর্বে করোনার ফলে অধিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই রাজ্য। দেশে যেভাবে ফের করোনার হার বেড়ে চলেছে তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। স্ক্রাব টাইফাস নামক মারণ রোগের ভ্যাকসিন এখনো পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি বলে নাজেহাল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

অন্যদিকে ভারতের মোট সংক্রমনের ৭০ শতাংশ আক্রান্ত কেরলের। এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ৮০৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১৭৩ জন। কেরলে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। ফলে দ্রুত এর রাস টানতে না পারলে ফের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই রাজ্য।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৫,১৮১ জন। বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২৯ জন।

শীঘ্রই দেশে বিভিন্ন উৎসবের সমাগম হতে চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যে নানান ভাবে মানুষ উৎসবগুলিকে উদযাপন করবেন। ফলে এমত অবস্থায় করোনার বাড়ন্ত গ্রাফ সকলকে চিন্তার মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞগণ সকলকে করোনার নিয়ম নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে বলছেন। যাতে দ্রুতই আমরা এই মহামারী থেকে নিস্তার পেতে পারি।