পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ গত ২১ মে ভবানীপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্তমান কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা দেওয়ার পরেই জল্পনা ছড়িয়েছিল বহুদূর।
তাহলে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় আর কি মন্ত্রী পদে থাকবেন না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যেহেতু রাজ্যে হ্যাটট্রিক করে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী গদিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছেন। তবে তিনি নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এককালীন নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজয় হন। তবে তার পরেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন।
নিয়ম অনুসারে, ছয় মাসের মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার সদস্য হতে হবে বা উপ নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। এই কারণে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার ইস্তফা দেওয়ার পরেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন। ভবিষ্যতে কি তিনি আর মন্ত্রী পদে না ? কিন্তু এবার তিনি জানিয়ে দিলেন উপ নির্বাচনে লড়বেন তিনি।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় উপনির্বাচনে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল হয়ে লড়বেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার তৃণমূল হাইকমান্ড থেকে তাকে প্রার্থী হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কাজল সিনহা। তিনি একুশের বিধানসভা ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবার আগেই তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার ফলে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। আর সেখান থেকে লড়বেন ভবানীপুরের পদত্যাগী বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
রবিবারে এ বিষয়ে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলের নির্দেশে নেত্রীর জন্যই ভবানীপুর থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। ফের দল বলেছে বলেই খড়দহের বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়াই করব। তিনি এখন উপনির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেহেতু তিনি রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তাই তিনি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় তৎপর হয়ে পড়েছেন।
গতকাল অর্থাৎ রবিবার ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও নিজের বাড়ি থেকেই কৃষি দপ্তরের সচিব ও আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেতেই রাজ্যের চাষীদের মাঠের বোরো ধান, তিল আর ডাল তুলে নেওয়ার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করেছে রাজ্যের কৃষি দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের পর চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। যার ফলে তিনি জানিয়েছেন, ঝড়ের দাপট শেষ হলে ব্লক ভিত্তিক ক্ষতির খতিয়ান নেওয়া হবে। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে অর্থ দপ্তরের পাঠাবো। অনুমোদন করলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।