পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রামপুরহাটের গণহত্যা কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছে বঙ্গ রাজ্য রাজনীতি। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয় এই ঘটনার সমালোচনা হচ্ছে গোটা দেশজুড়ে। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি হয় গত শুক্রবার। আর সেই শুনানিতে রাজ্য সরকারের গঠন করা সিটের উপর আস্থা নেই আদালতের এমনটাই জানিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
গতকাল শনিবার এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে নিশানায় নিতে ভোলেননি বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বাবুর নেতৃত্বে রামপুরহাট এসডিপিও কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। আর সেখান থেকেই রাজ্যের শাসক দলকে নিশানায় নিয়ে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গত ২১ মার্চ যে ঘটনা ঘটেছে তা এখন শুধু বাংলা নয়, গোট পৃথিবী জুড়ে আলোচিত হচ্ছে। যেভাবে মহিলা ও শিশুদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর বোমা, বারুদ বন্দুক ছড়িয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল রাজ্যকে সন্ত্রাসের আঁতুরঘরে পরিণত করেছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে চলে গিয়েছে।”
এরপর শুভেন্দু বাবু রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বলেন, “২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী। কিন্তু বিধানসভায় একদিন স্বরাষ্ট দফতর নিয়ে বিধায়কদের প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি। ঝালদা ও পানিহাটিতে কাউন্সিলরদের প্রকাশ্যে খুন করার পর তিনি স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে প্রথম আলোচনা করেছেন। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। আলোচনাতে অংশগ্রহণ করলেও তিনি মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি আক্রমণ করেছেন।”
জানিয়ে রাখি, ২১ শে মার্চ সোমবার রাতে রামপুরহাট বগটুই এলাকায় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনার পর গত ২৪ শে মার্চ ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি পৌঁছে স্বজনহারা ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদেরকে সরকারি চাকরি ও ক্ষতিপূরণ সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি জানিয়েছিলেন। সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দল নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিৎ। তিনি হেলিকপ্টারে করে এখানে এসেছে। তাঁর নাম এখন আকাশ নারী। তিনি এখন প্লেন বা হেলিকপ্টার ছাড়া চলা ফেরা করতে পারেন না। আকাশ নারী এখানে এসে কিছু টাকা বিতরণ করেছে। তৃণমূল মেরেছে তৃণমূলকে। যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনিও তৃণমূল। কিন্তু সাধারণ মানুষের রাজস্বের টাকা দিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।”