পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গোটা তৃণমূল কংগ্রেস। এমনটাই দাবি জানালেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বারবার তৃণমূলের দিকেই উঠছে আঙ্গুল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের পারদ উঠেছে তুঙ্গে।
রাজ্যের শাসক দলকে নিশানায় নিয়ে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল মুখপাত্রের শরীরী ভাষা, বীরভূমের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিক্রিয়া বলছে, এটা শুধু ভাদু – আনারুলের লড়াই নয়। এটাতে গোটা তৃণমূল জড়িত। আপার অনুমতি ছাড়া আনারুল পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কী করে! পরীক্ষা থেকে নিয়োগ — এ রাজ্যের সব আজ আদালতে চ্যালেঞ্জড হয়ে যাচ্ছে। ব্লক ভোট করতে গিয়ে এত লোকের মৃত্যু। মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।”
গতকাল শুক্রবার বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে হাইকোর্টের তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রামপুরহাট গণহত্যার জন্য আমরা আদালতে যাই। আরও অনেকেই যায়। রাজ্যের কাজ দেখে সিবিআই তদন্ত চাইছে আদালত। রাজ্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম -এর উপর আস্থা নেই মানুষের।” এরপর তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এবার যা করার সিবিআই করবে। তারা এই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে।”
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও বলেন, “রাজ্যের মানুষ শাসক দলে পুরো আস্থা রেখেছেন। বিরোধী নেই। ভোট তাই বলছে। কিন্তু আনিস, তপন কান্দু সবার পরিবার সিবিআই চাইছে। সিটের তদন্ত কার্যকারী নয়, বলছে আদালত। এই সরকারের আর কোনও তদন্ত নিয়ে মন্তব্যের নৈতিক বা রাজনৈতিক অধিকার নেই। আগে বিজেপি মরছিল। এখন মরছে তৃণমূল, মারছে তৃণমূল।”
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করতে ভোলেননি তিনি। এদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একধারে গোয়েন্দা এবং প্রশাসক। তিনি সূচপুর দিয়ে সাজাতে বলেছেন। কোনও বিরোধী দল বিশ্বাস করে না সিট বিচার দিতে পারে। সবাই সিবিআই চাইছেন। বিজেপি ছাড়াও অনেকেই জনস্বার্থ মামলা করেছে।”
জানিয়ে রাখি, রামপুরহাট ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। আর বর্তমানে সেই পথেই হাঁটলো কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন বিরোধীদল নেতারাও।