পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে শোনা গেল একটি অফ্ টপিকে কথা বলতে। পড়াশোনা বা গবেষণার কোনো বিষয় নয়, বিষয়টি হলো জমি জায়গা ও সম্পত্তি সংক্রান্ত। সম্প্রতি শান্তিনিকেতন ছেড়ে শুধু আমেরিকায় পাড়ি দিলেন অমর্ত্য সেন। বেশ কিছুদিন ধরেই শান্তিনিকেতনে বসবাস করছিলেন এবং সেখানকার জমি-জায়গা নিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।
আমেরিকা যাওয়ার পূর্বে অমর্ত্য সেনের বক্তব্য, যেহেতু জমি তার বাবার নামে ছিল, অধিকারসূত্রে বাবার অবর্তমানে সেই জমি তার স্ত্রীর নামে হয়ে যাওয়ার কথা। এরপর তার স্ত্রী অর্থাৎ অমর্ত্য সেনের মায়ের অবর্তমানে সেই জমির অধিকার একমাত্র তার সন্তান অর্থাৎ অমর্ত্য সেনের। আর নিয়ম অনুযায়ী সেটাই হয়েছে। তবে এখানে বিতর্ক আসছে কেন?
জানা গিয়েছে যে, শান্তিনিকেতন থেকে বেরিয়ে প্রথমে তিনি যাবেন মুম্বাইতে। মুম্বাই থেকে আগামী শুক্রবার পা রাখবেন আমেরিকায়। এর মাঝে তিনি শান্তিনিকেতনের জমি জায়গা নিয়ে আর কোন বক্তব্য পেশ করতে চান না। যদি কেউ কিছু জানতে চান তবে তারা যেন বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ বা উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আসলে বিশ্বভারতীর সঙ্গে চলছে তার এক ঠান্ডা যুদ্ধ। তাও আবার তার বাবার সম্পত্তি নিয়ে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, শান্তিনিকেতনের বোলপুরে অমর্ত্য সেনের যে ‘প্রতীচি’ নামক বাড়িটি রয়েছে, সেই জমির ১৩ ডেসিমেল নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। তাই গত ১৬ই জানুয়ারি অমর্ত্য সেন স্বয়ং প্রতীচি বাড়িতে প্রবেশ করেন। তিনি তার সমস্ত নথিপত্র বিশ্বভারতীকে দেখান। যেখানে সম্পূর্ণ জমিটি অমর্ত্য সেনের নামে করে দিয়ে গেছেন তার বাবা।
কিন্তু অপরদিকে, বিশ্বভারতী দাবি জানিয়েছে যে, অমর্ত্য সেন নাকি বিশ্বভারতীর জমি দখল করে নিয়েছেন। তাই তারা দরকারে ভূমি সংস্কার অফিসেও যাবেন। এক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনও রাজি হয়েছেন যে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সামনেই জমির মাপঝোপ আবার করিয়ে নেবেন। তবে শান্তিনিকেতনের বাড়ি ছাড়ার পূর্বেও অমর্ত্য সেন দৃঢ়ভাবে দাবী করে গেছেন যে, সেই জমিটি সম্পূর্ণ তারই।