পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বঙ্গে চতুর্থ দফার ভোটে মৃত্যু হল এক যুবকের। সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিল ১৮ বছরের যুবক। কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাড়াতে গিয়ে এই মৃত্যু হলো ওই যুবকের।
মৃত ওই যুবকের নাম আনন্দ বর্মন। সদ্য ১৮ বছর পেরিয়েছে ওই যুবক। তার জীবনের প্রথম ভোট ছিল এটাই। সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল আনন্দ বর্মন। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তার।
এই মৃত্যুর ঘটনায় তীর উঠেছে তৃণমূলের দিকেই। জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবকের পরিবার ও পরিবারের সদস্যরা গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমার্থক। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ।
সূত্রে খবর, শীতলকুচিতে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। সেখানে সকাল সকাল ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ১৮ বছরের ওই যুবক। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ঘাসফুল সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। এছাড়াও দুইদলের কর্মীদের মধ্যে গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
এই ঘটনায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটাররা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে ১৮ বছরের ওই যুবক দৌড়াতে থাকে এবং পিছন থেকে তাকে গুলি মারা হয় বলে খবর। গুলিবৃদ্ধ ওই যুবককে প্রাণে বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আনন্দ বর্মন আর জীবিত নেই, গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এই ঘটনায় তার পরিবার তৃণমূলের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। পাল্টা গেরুয়া শিবিরের দিকেই আঙুল তুলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই ঘটনায় ওই বুথের পরিস্থিতি সামলাতে এবং সুশৃংখলা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই নামানো হয়েছে র্যাফ। ঘটনাস্থলের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ কেন্দ্র বাহিনীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির হয়েই কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র নিন্দা। গণতান্ত্রিক দেশে কে কোথায় ভোট দেবে সেটা তার নিজস্ব অধিকার। বাংলার রাজনীতি দিনকে দিন আরো যে হিংস্র হতে চলেছে তা আর কারো কাছে লুকিয়ে নেই।