নন্দীগ্রাম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ ভোট, জগদীপ ধনকড়,
ছবি- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ-গতকাল পশ্চিমবঙ্গে চলেছে দ্বিতীয় দফার ভোট দান। মোট ৪ জেলায় ৩০ টি আসনে ভোটদানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেই ভোটদান ঘিরে সকালে অবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষের লড়াইয়ে যেন কুরুক্ষেত্রের ময়দানে পরিণত হয় নন্দীগ্রাম।

সারাদিন বাড়ি থেকে না বেরোলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বয়ালে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো পৌঁছতেই শুরু হয় তৃণমূল বিজেপি তুমুল সংঘর্ষ। সেই কেন্দ্র থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং সবিস্তারে সমস্ত পরিস্থিতির বর্ণনা দেন।

সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রস্থলে পাঠানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী আইপিএস নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয় পুরো সুরক্ষা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল টুইট করে জানান যে, “সমস্যাগুলি শুনেছি, কিছুক্ষণ আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ফোনে কথা হয়েছে।”

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আরো বলেন, “আমি নিশ্চিন্ত আইন মেনেই সব ব্যাবস্থা হবে। আমার বিশ্বাস সেই গণতন্ত্রকে বাঁচাতে এবং সমৃদ্ধ করতে সবাই আন্তরিকতার সাথেই কাজ করবে। গণতন্ত্রের স্বার্থে সঠিক পদক্ষেপ।” যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বুথ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মাননীয়াকে।

এরপর কেটে গেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। কাল নন্দীগ্রামে ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এই বিষয় বেজায় খুশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই প্রসঙ্গে তিনি আজ একটা টুইটও করেন। তিনি লেখেন “পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফা ভোটে ৩০ টি আসনে ৮৪ শতাংশের বেশী এবং নন্দীগ্রামে ৮০ শতাংশের বেশী ভোট পড়েছে। যা খুবই প্রশংসনীয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অসাধারণ কাজ করেছে। আগামী দফা ভোটেও এই একই ধারা বজায় রাখতে হবে।”

সকলকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন যে,” সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। কারণ এইভাবে গণতন্ত্র বজায় থাকবে। হিংসার কোনও জায়গা নেই।”