নন্দীগ্রাম ভোট , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ ভোট, ভোট
ছবি- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- এবারে বিধানসভা ভোট নিয়ে কার্যত উত্তপ্ত সারা বাংলা। বিশ্বের বাঙ্গালীদের চোখ এখন পশ্চিমবঙ্গের ওপর। তারমধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত হল নন্দীগ্রাম। কার্যত যুদ্ধের আকার নিয়েছে নন্দীগ্রম। নন্দীগ্রামে এবারে সম্মুখ সমরে তৃণমূল এবং বিজেপি এবং সিপিআইএম। ত্রিমুখী সমীকরণে একেবারে রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে নন্দীগ্রাম। আজ সেই নন্দিগ্রামের ৩৫৫ টি বুথে ভোট যুদ্ধ।

সেই বাম আমল থেকেই রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করেই ভোটের সমীকরণ বদলে গিয়ে লালের বদলে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল তৃণমূল সরকার। আর সেই নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করেই এবারে সম্মুখ সমরে নেমেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একসময় তৃণমূলের সবচেয়ে বড় নেতা এবং মমতা ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু অধিকারী। যিনি বর্তমানে তৃণমূলের সবচেয়ে বড় বিরোধী পক্ষ বিজেপি সরকারের নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের প্রার্থী।

সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের আবহাওয়া থমথমে। বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী অতন্ত্র প্রহরীর মত পাহারা দিয়ে চলেছে। তারি মধ্যে সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট ডান। সেক্ষেত্রে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী, সিপিআইএম এর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে এসেছেন।

এদিন সকালে কার্যত বাইকে করে ভোট দিতে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট দানের পর তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, কার্যত কোনও বুথেই মমতা সরকারের এজেন্টের দেখা মেলেনি। এছাড়াও তিনি জানান, ” নন্দীগ্রাম মানুষের সাথে আমার বিশ্বাসের সম্পর্ক। হঠাৎ করে দু-এক মাসে সেটা কেউ নষ্ট করতে পারবেনা। বয়ালের চার নম্বর বুথে সামান্য সমস্যা আছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা নেই।”

তিনি সমস্ত ভোট দাতাদের উদ্দ্যেশ্যে আরও বলেন যে,” সমস্ত ভোটারের কাছে অনুরোধ, শান্তিপূর্ণ ভাবে অংশগ্রহণ করুন। নিয়ম মেনে ভোট দিন। কোভিড বিধি মেনে চলুন। আমি ভোট দিয়েছি। এখানে উন্নয়ন জিতবে। তোষণ পরাস্ত হবে। দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা হবে।”

অন্যদিকে সিপিআইএম এর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন যে,  এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট দান সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সমস্ত বুথেই সব রাজনৈতিক মতাদর্শের এজেন্টরা রয়েছে বলে তিনি জানান। সকালের ভোট শুরু হলেও এখনও সারাদিন ভোট দান চলবে নন্দীগ্রামে। এখন সময়ের অপেক্ষা। আগামী ২ রা মে সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেখা যাক পশ্চিমবঙ্গে কোন দল নিজেদের সরকার গঠন করে।