পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারো বিতর্কের শিরোনামে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনের একাধিক দেয়ালে লেপা হয়েছে কালি। সেই সাথে দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয়েছে ব্রাহ্মণ বিরোধী স্লোগান। আর সেই কালি লেপা দেওয়াল এবং স্লোগান লেখা দেয়ালের ছবি তুলে পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। পোস্ট করার পর-মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিগুলি।
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপির সভাপতি রোহিত কুমার জানিয়েছেন, এই শিক্ষা মন্ডলে তান্ডব চালিয়েছে কমিউনিস্ট গুন্ডারাই। মুক্তচিন্তা অধ্যাপকদের চেম্বারগুলিতে লেপে দেওয়া হয়েছে কালি।জেএনইউয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ দ্বিতীয় ভবনের দেওয়ালেও একইভাবে কুরুচিকর কথা লেখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে শুধু জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনই নয়, সেই সাথে ভাঙচুর চালানো হয়েছে স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ভবনের দেওয়ালেও। ভাঙচুরের পাশাপাশি স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দেওয়ালে ব্রাহ্মণ বিরোধী ও বেনিয়া সম্প্রদায় বিরোধী বেশ কিছু স্লোগানও লেখা হয়েছে। স্লোগানের মধ্যে কোথাও কোথাও লেখা হয়েছে ব্রাহ্মণরা ক্যাম্পাস ছাড়ো, না হলে রক্তপাত হবে, ব্রাহ্মণরা ভারত ছাড়ো, আমরা বদলা নিতে আসছি।
1) This is from JNU.
Slogans on the wall:
1. Brahmin Bharat Chhodo.
2. Brahmino-Baniyas, we are coming for you! We will avenge.School of Language Literature and Culture Studies in JNU. (2nd building, 3rd floor). pic.twitter.com/h4lGkotana
— Anshul Saxena (@AskAnshul) December 1, 2022
রোহিতকুমার আরো বলেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন শিক্ষার স্থানগুলি তর্ক-বিতর্ক, জ্ঞান আহরণ ও আলোচনার জন্য তৈরি। এই স্থান কলুষিত করা মানে সমাজ ও পড়ুয়াদের বিষাক্ত করার সমান। এই বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমিটির পক্ষ থেকেও নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট করা হয়। সেই টুইটের তীর যে বামগোষ্ঠীর দিকে সে কথা আলাদাভাবে বলার দরকার পড়ে না।
তারা টুইটে লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম-উদারপন্থী গোষ্ঠী প্রতিটি বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরকে হুমকি দিয়ে চলেছে, কাজেই নির্বাচন কমিশনের উচিৎ প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করে সভ্যতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সম্মান দেওয়ার বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরা।