
পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ রামপুরহাট গণ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই বেরিয়ে আসছে তৃণমূলের একাধিক তাবড় তাবড় নেতাদের নাম। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে এবার বেরিয়ে এল তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম।
২১ শে মার্চ রামপুরহাটের বগটুই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছিলেন নাজেমা বিবি। প্রায় এক সপ্তাহ জীবনের সঙ্গে লড়াই করে গতকাল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নাজেমা বিবির। স্ত্রীর মৃত্যুর পর এবার বিস্ফোরক নাজেমার স্বামী শেখলাল। এই ঘটনায় সরাসরি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়লেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শেখ লাল বলেন, তোলাবাজির ভাগ পেতেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল একা নন, এনার সঙ্গে রয়েছেন পুলিশ এমনকি আনারুলও। এরা প্রত্যেকেই ভাদু শেখের ব্যবসা থেকে তোলাবাজির টাকা নিতেন।
এছাড়াও তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আরও বলেন, তৃণমূলের মৃত উপপ্রধানের বেআইনি ব্যবসা ছিল। ভাদু শেখ বেআইনি ভাবে কয়লা ও বালির ব্যবসা করতেন। আর সেই বেআইনি ব্যবসার জন্য তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন এবং জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ থানার ওসিকে ভাগ দেওয়া হতো। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আনারুল হোসেনর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠার কারণে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। তবে এই ঘটনায় প্রথমবার রহস্য ভেদে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসলো।
শেখ লাল জানিয়েছেন, মৃত ভাদু শেখের অধীনে ৪০ থেকে ৫০ টি ছেলে কাজ করতেন যারা কয়লা ও বালির ব্যবসা দেখাশোনা করতেন এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে পাথরের গাড়ি থেকে তোলাবাজি করতেন। আর সেইসব তোলাবাজির টাকা এসে পৌঁছাত অনুব্রত মণ্ডল সহ থানার ওসি এবং ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন এর থলিতে। কিন্তু ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর থেকে তাদের কাউকে নজরে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শেখ লাল।
তবে এই ঘটনায় ভাদু শেখের পিতা জানিয়েছেন, ভাদু শেখের বেআইনি ব্যবসা ছিল। কিন্তু বোরখার ভাগ বা তোলাবাজির ভাগ না দেওয়ার কারণেই ভাদু শেখকে খুন হতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজনীতির কারণেই বছরখানেক আগে ভাদু সেখের ছোট ভাই খুন হয়েছিল। আর এবারও রাজনীতির কারণেই খুন হলেন ভাদু শেখ।