পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- বর্তমান প্রজন্মের সুর জগতের একজন স্বনামধন্য শিল্পী হলেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। যাঁকে সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখা গিয়েছিল। তবে এবারেও ইকো পার্কে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল অরিজিৎ-এর। কিন্তু হঠাৎ অরিজিৎ সিংয়ের ইকো পার্কের শো বাতিল করা হয়। কেন এমন হলো ? সেই নিয়ে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন আগে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন টলি-বলি ইন্ডাস্ট্রির তাঁবড় তাঁবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তার সাথে সেখানে দেখা গিয়েছিল স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎকেও। শুধু তাই নয়, সেই চলচ্চিত্র উৎসবে মঞ্চে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে গানও গেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সকলের সামনে তিনি গিয়েছিলেন “রং দে তু মোহে গেরুয়া” গানটি। গানে ‘গেরুয়া’ শব্দের ব্যবহার করায় বিতর্ক শুরু হয় তার পর থেকেই।
তবে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি কলকাতার ইকো পার্কে আসার কথা ছিল অরিজিৎ সিং-এর। জানা যায় সেই খবর প্রচার হওয়ায় ২২ হাজারেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি হিডকো ঘোষণা করেছে অরিজিৎ সিং’এর এই শো বাতিল করা হয়েছে। আর এই কথা শুনে বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, চলচ্চিত্র উৎসবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সামনে “রং দে তু মোহে গেরুয়া” গান গাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী রেগে গিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই নিয়ে তুমুল তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অরিজিৎ সিং ওনার খুবই প্রিয় একজন শিল্পী। ওনার সাথে, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে আছে দারুণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর এক ডাকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন অরিজিত। KIFF বা ফিল্ম ফেস্টিভাল, এসব দিয়ে একজন শিল্পীকে বিচার করা অসম্ভব।
এছাড়া তিনি আরো বলেছেন, খুব শীঘ্রই ইকো পার্কে জি-২০ সম্মেলন আয়োজিত হতে চলেছে। যেখানে অসম্ভব ভিড় হচ্ছে। ঠিক এই মুহূর্তে বড়োসড় অনুষ্ঠান করলে শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এই কারণেই মূলত অনুমতি খারিজ করা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে ইকো পার্কের পরিবর্তে অন্য কোন জায়গায় অরিজিৎ সিং এর গানের অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থা করাও হচ্ছে। শুধু এই বিষয়ে নয়, বর্তমানে সবকিছুতেই যুক্ত হচ্ছে রাজনীতি। একে অপরের বিরুদ্ধে উগরে দিচ্ছেন নিজেদের ক্ষোভ। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না।