আনারুল হোসেন, মমতা ব্যানার্জি, রামপুরহাট
"আনারুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করুন, ও পুলিশ পাঠালে এমন ঘটনা ঘটতো না", আদেশ মমতার

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- আজ রামপুরহাটে পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে। সেখানে দাঁড়িয়ে মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত ২১ শে মার্চ সোমবার রামপুরহাটের এক নম্বর ব্লক পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তার পরবর্তীতে পাল্টা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে। এই বাড়ি গুলির মধ্যে ৮ জন মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের তরফ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল যে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন এই ঘটনার সাথে সরাসরি ভাবে জড়িত। তবে আনারুল হোসেন মিডিয়ার সামনে এসে জানিয়েছিলেন তিনি এই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন, তিনি সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ।

কিন্তু আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটে পৌঁছে জানিয়েছেন,”আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। ওকে কমপ্লেন করেছিল ওরা। যেহেতু ও সময়মতো পুলিশ পাঠায়নি ওকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ও কেন সময়মতো পুলিশ পাঠায়নি ? পাঠালে ঘটনাটা নাও ঘটতে পারত। এটা দেখতে হবে।”

এর সাথে সাথে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন,”এসডিপিও ছিল, তিনি ঘটনা যখন দেখলেন একজন খুন হয়ে গেল। খুন হয়ে যাওয়ার পরেও তার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে। এখানে আগেও এই রকম ঘটনা ঘটেছে। আগেও খুন হয়েছে এই গ্রামে। এসডিপিও নিজের দায়িত্ব পালন করেনি। আইসি নিজের দায়িত্ব পালন করেনি এবং ডিআইবি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। যারা নিজের দায়িত্ব পালন করেনি এবং এই ঘটনা ঘটতে যারা জেনে শুনেও পুলিশকে ঠিকমতো কাজে লাগায়নি, আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।”

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি ঠিক করার জন্য আজ এক লক্ষ টাকা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পরে আবার দরকার হলে আরো এক লক্ষ টাকা করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাথে একটি করে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথাও জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া গ্রামের মানুষের নিরাপত্তা বাড়াতে জেলাশাসককে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।