পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ বাবা-মায়ের পর ছোট্ট শিশুদের জীবনে একটি শক্ত খুঁটি হয়ে দাঁড়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে এবার সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারাই শিশু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। শুনে অবাক হলেও, এটাই সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার কালপাথর এলাকায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কালপাথর এলাকার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল হলেন কমল কুমার রাজোরিয়া। ওই বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষিকা সহ আরো ৬ জন যুক্ত রয়েছে এই শিশু পাচার কাণ্ডে। ইতিমধ্যেই ৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় ছোট শিশুদেরকে বিক্রি করে নিম্ন রুচির পরিচয় দিলেন বাঁকুড়ার জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার বাঁকুড়া জেলার কালপাথর এলাকায় দুটি শিশুকে জোর করে মারুতি ভ্যানের তোলার চেষ্টা করছিলেন অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। দুর্ভাগ্যবশত গোটা বিষয়টি লক্ষ্য করে গ্রামবাসীরা। বিষয়টি ভালো না লাগায় তারা মারুতি ভ্যানটিকে ঘিরে ফেলে।
এরপর ঘটনাস্থলে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে পালিয়ে যান কমল কুমার রাজোরিয়া। তবে পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং ওই গাড়ি থেকে দুটি মহিলা ও চারটি শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক করার পর অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া জানিয়েছেন, দুর্গাপুরের মেনগেট ও কাদা রোড এলাকা থেকে এই শিশুদের ধরে আনা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, ওই শিশুদের মায়েদের কেউ মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন তারা। টাকার বিনিময়ে তাদের সন্তানকে তুলে দিয়েছেন তাদের হাতে। এরপর তারা শিশুদেরকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচটি শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এছাড়াও প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষিকা সহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে শিশুদেরকে কোন রকম যৌন হেনস্তা করা হতো কিনা, সে বিষয়ে মেডিকেল পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পুলিশ।