পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ ভারতীয় নোটে মহাত্মা গান্ধীর মতই স্থান পাক লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি, কেন্দ্রের কাছে আর্জি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। নোটে যদি লক্ষ্মী এবং গণেশের ছবি থাকে তাহলে ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে দাবি দিল্লি সরকারের।
দীপাবলির মধ্য দিয়েই কেন্দ্রকে নতুন পরামর্শ দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন তিনি জানান, দীপাবলীর পুজো করতে করতে মাথায় আমার একটি ভাবনা এসেছে। বর্তমানে আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি দেশের অর্থনীতির হাল খুব একটা ভালো না। ডলারের তুলনায় ক্রমেই পড়ে যাচ্ছে টাকার দাম। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে ঈশ্বরের আশীর্বাদ অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা চাই ভারত যেন একটি উন্নত শীল দেশে পরিণত হয়। তবে তার জন্য দেব-দেবীর আশীর্বাদ সঙ্গে থাকা প্রয়োজন। সেই কারণেই ভারতীয় নোটে এক পিঠে থাকবে মহাত্মা গান্ধীর ছবি এবং অন্য পিঠে থাকবে লক্ষী ও গণেশের ছবি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল এদিন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করতে চাই, আমাদের নোটের একদিকে গান্ধীজীর ছবি রয়েছে, সেটা তেমনি থাকুক। অন্যদিকে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি ছাপা উচিত।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, “অনেক সময়ই আমরা অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদ না থাকলে সুফল মেলেনা। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আর্জি, গণেশ ও লক্ষ্মীর ছবি দিয়ে নতুন নোট ছাপা হোক।”
দিল্লির শাসকদল তথা আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের কথায় রীতিমতো বিতর্ক তুঙ্গে। তবে এই কথার যুক্তি সাপেক্ষে তিনি উদাহরণস্বরূপ ইন্দোনেশিয়ার কথা টেনে তুলে বলেন, “ইন্দোনেশিয়ার মত মুসলিম দেশে গণেশের মুখ দেওয়া নোট রয়েছে। সেই দেশ পারলে আমরা কেন পারব না।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখব। কারণ, যা পরিস্থিতি তাতে মানুষের চেষ্টার পাশাপাশি ভগবানের করুণারও দরকার পড়ছে। এছাড়া হবে না।”
তবে অনেকেই কেজরিওয়ালের এই বক্তব্যকে বিদ্রুপ হিসাবে দেখছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট পাড়ায়।