Tripura, BJP, ত্রিপুরা, বিজেপি
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের উপর হামলা!

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই ত্রিপুরায় হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা সামনে এলো। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী। তার বাবা রসিক রঞ্জন গোস্বামী ওই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা। ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করা হয়েছে আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ধর্মনগরে।

গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়াতে বর্ণনা করেছেন বর্ণালী গোস্বামীর বাবা বিজেপি নেতা রসিক রঞ্জন গোস্বামী। তিনি জানান যে, ধর্মনগরের জেল রোডে বিশ্বজিৎ মালাকারের বাড়িতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বর্ণালী গোস্বামী। আর তখনই তাকে ঘিরে একদল নব্য বিজেপির যুবকর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

বিজেপির ওই সদস্যরা প্রার্থীর বিপক্ষ শিবিরের বলেই অনুমান তার। দেখতে দেখতে ঘটনা হাতের বাইরে চলে যায়। প্রথমে বিষয়টি বিক্ষোভের পর্যায়ে থাকলেও শেষের দিকে একপ্রকার আক্রান্তই হতে হয় বর্ণালী গোস্বামীকে। তাকে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি, টানা হ্যাঁচড়া করা হয়। ঘটনায় চোট পেয়েছেন তিনি ও তার বড় বোন।

এ হেন ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে রসিক বাবুর মনে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান যে, ৩২ বছর ধরে বিজেপির সেবা করার পর এটাই নাকি তার উপহার। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে এবং অমানুষিক পরিশ্রমের দ্বারা তিনি এলাকায় বিজেপির সংগঠন দাঁড় করিয়েছিলেন।

তার মেয়ে বর্ণালী গোস্বামীও তার মতই ছাত্র জীবন থেকে বিজেপির সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কলেজ জীবনে এবিভিপির স্বয়ং সেবিকা এবং পরবর্তীকালে বিজেপিরই ছত্রতলে রাজনীতির আঙ্গিনায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।বর্তমানে বর্ণালী মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন।

তিনি সেই দায়িত্ব পালন করতেই দুপুর একটা নাগাদ বিশ্বনাথ মালাকারের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। রসিক বাবু আরো যোগ করেন যে, ওই সময়ে থানার অফিসার ইনচার্জকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সেক্টর ইনচার্জ মিস্টার দাস নিজে গিয়ে বর্ণালী গোস্বামীকে ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

এতদিনের পরিশ্রমের যে প্রতিদান তিনি বিজেপির কাছ থেকে পেলেন, তার বিচার ভারও তিনি ধর্মনগরের মানুষের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং এই ঘটনায় যে তাদের কোন যোগ নেই সে বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি।