পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের উঠল অভিযোগ, এপার থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে সোনার গহনা পাচারের। আর সেই অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার হলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর ছেলে এবং এক আত্মীয়। তাদের গ্রেফতার করেছে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI)। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয় এই দুজনকে। ধৃতদের মধ্যে একজন শুভ আঢ্য। তিনি তৃনমূল-কংগ্রেস পরিচালিত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর ছেলে। অপর জন হলেন অমিত ঘোষ। তিনি সম্পর্কে শঙ্কর আঢ্যের শ্যালক হন।
রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (DRI) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর এপ্রিল মাসে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে ৪ কেজি সোনা উদ্ধার হয়। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই পাচার চক্রের পান্ডা ধৃত শুভ ও অমিতই! এতদিন ধরে তাদের খোঁজ করছিল পুলিশ। অবশেষে তারা পুলিশের জালে ধরা দিলেন। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্যের শাসকদলের।
গত অক্টোবর মাসে অনুপম মিত্র ও অনীক মণ্ডল নামে দুই জনকে বাংলাদেশে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের কাছে প্রায় ২ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছিল। তাদের কাছ থেকে তদন্তকারী সংস্থা জানতে পারে যে, ওদেশ থেকে সোনা এনে এ রাজ্যে গয়না তৈরি করা হয়। তারপর আবার সেই গয়না বাংলাদেশে পাচার করা হয়।
তাদেরকে জেরা করে অমিত ঘোষের নাম জানতে পারে ডিরেক্টোরেট অফ রেভিনিউ ইনটালিজেন্সি। তারপর উঠে আসে শুভ আঢ্যর নাম। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে ডেকে পাঠান তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর অমিত ঘোষ এবং তার ভাগ্নে শুভ আঢ্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না তার খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বনগাঁ জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি শঙ্কর আঢ্য সোনার ব্যবসা করেন। ডলার কেনাবেচার ব্যবসা করেন , হুন্ডির ব্যবসা করেন, বিদেশে টাকা পাচারের ব্যবসা করেন। তা আজ প্রমাণিত হল। সঠিক তদন্ত করা হোক, তাহলেই বোঝা যাবে কত বড় রাঘব বোয়াল এই শঙ্কর আঢ্য।’