uttarakhand, boy brutally tortured for entering the temple, caste system, উত্তরাখণ্ড, মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে পাশবিক অত্যাচারের শিকার এক যুবক, বর্ণ-প্রথা
নিচু বর্ণের মানুষ হওয়ায় মন্দিরে পুজোয় বাধা, সারারাত চলে পাশবিক অত্যাচার

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বর্তমানে সাধারণ মানুষ এত আধুনিক হওয়া সত্ত্বেও ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ মন থেকে পুরোপুরি মুছে যায়নি। সম্প্রতি সেরকমই এক ঘটনা ঘটলো উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় সালরা গ্রামের মোরী এলাকায়। নিচু বর্ণের মানুষ হওয়ায় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে লোহার শিকের ছ্যাঁকা খেতে হল ২২ বছরের এক যুবকের।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায়। দলিত হওয়ায় ওই যুবককে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেয় সেখানকার স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। তারপরেই ওই যুবক তাদের কথা না শোনায় যুবককে বেঁধে তার ওপর পাশবিক অত্যাচার করা হয়। সারা রাত ধরে তার গায়ে দেওয়া হয় লোহার ছ্যাঁকা। পরের দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয় ওই যুবক। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন সেখানকার স্থানীয় ৫ জন ব্যক্তির নামে। তদন্ত চালাচ্ছে সেই থানার অফিসার প্রশান্ত কুমার।

গত ৯ই জানুয়ারী উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো কিছুর কারণে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল ওই ২২ বছরের যুবক। তবে তিনি নীচু বর্ণের যুবক হওয়ায় তাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় সেখানকার কিছু ব্যক্তি। তবে সেই ছেলেটি জানান, তিনি পুজো দিয়েই চলে যাবেন বলেছিলেন সেই ব্যক্তিদের। আর তারপরেই ছেলেটির উপর চড়াও হয়ে নানারকম অত্যাচার শুরু করে একদল ব্যক্তি।

ওই যুবক জানিয়েছে, তাকে পিলারে বেঁধে মারধর করা হয়েছে এমনকি সারা রাত ধরে গায়ে ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়েছে। পরের দিন ওই যুবক যখন মন্দির থেকে বাইরে বেরিয়েছে তখন সেখানকার স্থানীয় কিছু লোকের চোখে পড়ে সেই ছেলেটিকে। তারপরে তাকে সেখানকার একটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসা করা হয়। এরপর ছেলেটি সুস্থ হয়ে সেখানকার থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।