পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোটের প্রাক্কালে একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে শাসক দল এবং বিরোধী পক্ষ। যার ফলে পুরো সরগরম হয়ে উঠেছে কেন্দ্র রাজ্য তরজা। একের পর এক নেতাদের দল বদলের সাথে সাথে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের তৃণমূল এবং বিজেপিতে যোগদান যেন এবারে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
তৃণমূল এবং বিজেপি এর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মধ্যে এবারে একেবারে অন্যতম হল কৈলাস বিজয়গর্গীর মন্তব্য। তিনি বলেন যে,” বাংলায় NRC হবেনা। তবে নির্বাচনে জয়লাভের পর ইস্তেহার অনুয়ায়ীই সিএএ (CAA) চালু করার ইচ্ছে আছে রাজ্যে। এটি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যারা ধর্মের নামে হত্যালীলার হাত থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশ থেকে আমাদের দেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চাই।”
বাংলায় এনআরসি( NRC) নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তিনি বলেন যে,” সাধারণ মানুষের নাগরিকত্ব অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে, এই ভয়ই দেখাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।”
আরও পড়ুনঃ- ভোটে জিতলেই সারদার টাকা ফেরৎ, জানাল শুভেন্দু অধিকারী
যেহেতু তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হয় সারদা নিয়ে। সেই ঘটনা নিয়েই কার্যত সরব হন অধিকারী। যেহেতু সেই সময় থেকে এখনও অবধি চিটফান্ড নিয়ে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা গ্রেপ্তার হন সেক্ষেত্রে এই চিটফান্ড যে শাসক দলের একটা নরম জায়গা তা বলাই বাহুল্য।
তা ছাড়াও নন্দীগ্রাম নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কৈলাস বিজয়গর্গী বলেন যে,” যখন তৃণমূল পর পর দুটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল, তখন তো নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলা হয়নি। এখন নিজেদের হারের আন্দাজ করতে পেরেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ দেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ- ভোটের আবহে করোনা প্রতিরোধে আবার কি রাজ্যজুড়ে লকডাউন না অন্য পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর!
এখন অপেক্ষা শুধু ২ রা মে এর। ওইদিন বিধানসভা ভোটের রেজাল্ট। এখন দেখার অপেক্ষা বাংলায় কি আবারও ঘাসফুল ফুটবে না এবারে বঙ্গে ফুটবে পদ্মফুল। আর শাসক এবং বিরোধীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা কতদুর রাখে সেটা দেখার জন্যও মুখিয়ে আছে রাজ্যবাসী।