পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ খড়গপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রদীপ সরকার। গতকাল বুধবার চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। তারপরই তাকে সমালোচনার বাঁধে বৃদ্ধ করলেন খড়গপুরের বিজেপির বিধায়ক তথা টলি অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
যদিও বুধবার পৌরসভা ভবনের ভিতরে প্রদীপ সরকারের শপথ গ্রহণের সময় শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন তিনি।তবে পরবর্তীতে বিজেপি বিধায়ককে কটাক্ষ করে হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো আড়াই কোটি টাকা ফেরত দিয়েছিলেন ! তাতেই হয়তো খুশি হয়ে ওনাকেই ফের চেয়ারম্যান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উন্নয়নের জন্য ৫ কোটি, ১০ কোটি যা আসবে, সবটাই উনি ফেরত পাঠাবেন। তাতেই হয়তো খুশি হবেন মুখ্যমন্ত্রী!” নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এর কারণে খড়গপুর পৌরসভা শ্মশানে পরিণত হবে এমনটাই দাবি বিজেপি বিধায়কের। তিনি এদিন আরও জানান, “ক্ষতি হবে আপামত খড়গপুরবাসীর। শ্মশানে পরিণত হবে। একটু বৃষ্টি হলেই ফের এক হাঁটু জল জমে যাবে ৷ তবুও উনি চেয়ারম্যান হয়েছেন।”
এখানেই চুপ থাকেননি বিজেপি বিধায়ক, একের পর এক কটাক্ষ করে তিনি এদিন আরও বলেন, “ওদের দলেরই ১৩ জন কাউন্সিলর ওঁর বিরুদ্ধে ছিলেন। যাই হোক, ওনাদের দলনেত্রী যা ভালো বুঝেছেন, তাই করেছেন। ওদের দলীয় বিষয় নিয়ে বলার কিছু নেই। তবে, আমরা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ, আওয়াজ পৌঁছে দেব!”
বুধবার শপথ গ্রহণের পর এমন মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক। তবে এই মন্তব্যের জবাবে প্রদীপ সরকার তৎক্ষণাৎ কিছু না জানালেও পরবর্তীতে তিনি জানিয়েছেন, “গত ছয় মাস ধরে খড়গপুরের মানুষ বুঝে গিয়েছেন বিজেপির বিধায়ককে জিতিয়ে। একটা সই করতে হলেও বিধায়কের দেখা পাওয়া যায় না।”
এর পাশাপাশি প্রদীপ বাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উনি না থাকলে আমি এই জায়গায় আসতে পারতাম না। আজ তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আবার আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন। আমার দায়িত্বও বেড়ে গেল। খড়গপুরের অনেক কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে হয়েছে। খড়গপুরের অনেক জায়গায় বর্ষাকালে জল জমে যায়। সেটার একটা মাস্টার প্ল্যান করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি বিশুদ্ধ জল ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের উপর কাজ করতে হবে। খড়গপুরবাসী আরও অনেক কিছু নতুন পাবেন বলে আমি আশা করি।”