পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপির দাবি ছিল দু’শোর বেশি আসন পেয়ে বাংলায় নতুন সরকার গড়বে বিজেপি। তবে তার অর্ধেক আসনও জয়লাভ করতে পারেনি পদ্ম শিবির। ভোট গণনা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
“রাজ্যে সঠিকভাবে ভোট গণনা হয়নি, গণনায় অনেক কারচুপি হয়েছে। ভোট গণনায় সম্পূর্ণরূপে ফেল করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে বিজেপি এত কম সংখ্যক আসন পেয়েছে।” ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে এবার নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙুল তুললেন নন্দীগ্রামের বিজয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে মুরলীধর সেন লেনে ধর্নায় বসে দলের নেতারা। সেই ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত সহ বিরোধী নেতারা। ধর্নায় বসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও, গণনার নাম করে কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অনেক গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-র এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারচুপি হয়েছে। তার ফলেই বিজেপি ১০০-র কম আসন পেয়েছে। সরকার গড়তে না পারলেও আমরা আরও অনেক বেশি আসন পেতাম।’’
মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভৎসনার পর নড়েচড়ে বসে ছিল নির্বাচন কমিশন। কোভিড প্রটোকল মেনে ভোট গণনার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রতিটি গণনা টেবিলের মধ্যে ৬ ফুট করে দূরত্ব রাখা হয়েছিল। ফলে অনেক জায়গায় এজেন্টরা সঠিক ফলাফল দেখতেই পাননি।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “ভোট গণনা কেন্দ্রে যদি কারচুপির না হতো, তাহলে রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে না পারলেও ১০০ টির বেশি আসন পেত। ভোট গণনা সঠিকভাবে হলে আমরা আড়াই কোটির বেশি ভোট পেতাম।” রাজ্যে পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু জানিয়েছেন, “গণনায় কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে আমরা আদালতে যাব। সব ইভিএম আবার গণনা করতে হবে।”

শুভেন্দু অধিকারী পূর্ণগণনার দাবি জানিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা বললেও, এ বিষয়ে কোনো রকম মুখ খোলেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে তিনি ধর্নায় বসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘‘নির্বাচনে জেতার কৌশল সিপিএমের কাছ থেকে শিখেছে তৃণমূল। মমতা নির্বাচনে হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আর এখন পুনর্গণনার জন্য আদালতে যাওয়ার কথা বলছেন। যদি সৎ সাহস থাকে তা হলে উনি আদালতে যান। উপনির্বাচন করে পেছনের দরজা দিয়ে জিতে আসতে হবে না।’’