পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- ২০২১ এর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে প্রায় দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বাংলার মানুষ ও সেলিব্রেটিরা। টালিগঞ্জের টলিউড ইন্ডাস্ট্রির তারকারা যেন যে যার মতো করে বেছে নিয়েছেন তারা ভোটের আগে কোন দলে যোগ দেবেন। কিন্তু বিজেপির দুই তারকা প্রার্থী এ বছর দোল পূর্ণিমার দিন করে বসলেন মস্ত বড় ভুল।
এবছর দোলের দিন একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। ইভেন্টের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপি নেত্রী পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী এবং তনুশ্রীকে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র এবং দেবাংশু চট্টোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠান থেকে একটি চিত্র সামনে আসে। তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। রাজ্যে চলছে বিধানসভা ভোট আর এই সময়ে পায়েল-শ্রাবন্তী দের তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সাথে দোল উৎসবের অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত হয়নি। বেজায় চটেছেন রাজ্য বিজেপির বরিষ্ঠ নেতৃত্ব।
তবে সবার প্রথমে এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকার। তিনি বলেন “নমস্কার আমি পায়েল সরকার। গতকাল দোল উৎসবের সময় একটা ছবি নিয়ে অনেকে আমার উপর হয়তো মনোক্ষুন্ন হয়েছেন। গত ৭০ বছর ধরে পশ্চিমবাংলাতে চলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছেন আমার অসংখ্য বাংলার ভাইবোনেরা।এখানে বিরোধী দলকে তাদের মতপ্রকাশ করতে দেয়া হয় না।বিজেপি করার অপরাধে খুন হয়েছেন ১৪০ এর উপর কার্যকর্তা।অপরাধ তারা বিজেপি করতো । ৭০ বছর ধরে চলা এই রাজনৈতিক হিংসার অবসানের জন্যে বিজেপির সংগ্রাম চলছে। ১৪০ জন শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে বলছি তোমাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। Restoration of democracy অথাৎ গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করাই হবে আমাদের প্রথম কাজ । ২ রা মে বিজেপি র সরকার গঠনের পর বিরোধী শাসক একসাথে মিলেমিশে থাকবে এইরকম বাতাবরণ পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হবে এই আশা নিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।”
পায়েলের পর এই ঘটনার প্রবাদের ক্ষমা চেয়ে নেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন “নমস্কার আমি শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী বেহালা পশ্চিম বিধানসভার মনোনীত প্রার্থী। গত ২৮’শে মার্চ দোল উৎসব উপলক্ষ্যে সেদিন একটি মিডিয়া চ্যানেল-এর পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত করা হয়েছিল যা কোনোভাবেই রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল না, যেখানে অন্য একটি দলের প্রার্থীরাও ছিলেন যা আমি ওখানে পৌঁছে জানতে পারি। যেহেতু দোল সবার তার কোনো আলাদা রাজনৈতিক রং নেই তাই গেছিলাম। আমার যাওয়ার জন্যে যদি আমার বেহালা পশ্চিম বিধানসভার কার্যকর্তারা এবং কর্মীরা মনোক্ষুন্ন হন তার জন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আমি যেভাবে বেহালা পশ্চিমের পাশে আছি সেভাবেই থাকবো এবং আপনারা যেভাবে এতদিন ভালোবেসে এসেছেন চাইবো সেইভাবেই ভালোবেসে যাবেন এবং আশীর্বাদ করবেন যাতে আরও এগিয়ে যেতে পারি। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।”
তাদের ভুলের পরে মানুষ তাদের ক্ষমা করে দেন কিনা এবার তা জানা যাবে ২ রা মে।