পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- ২০২১ বিধানসভা ভোটের ডঙ্কা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। গত লোকসভা ভোটের মত নয় দুমুখি নয়। এবার রাজ্যে বিধানসভা ভোটে লড়াই হবে ত্রিমুখীও। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি মুখ্য চরিত্র হলেও বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ এর জোট অনেক মানুষের ভোট তাদের দিকে টেনে আনতে পারে। তাই আজকের ব্রিগেড এর উপরে নজর থাকবে রাজ্যের সমস্ত মানুষের।
আজ পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রিগেড হওয়া সত্বেও ব্রিগেডে থাকতে পারবেন না পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। গতকাল এই খবর পাওয়ার পরপরই রাজ্যবাসীর জন্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজের বার্তা পাঠিয়ে বলেন “ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্নভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না।”
গত ৯ ই ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব বাবু। তার স্বাস্থ্য চিন্তার বিষয় হয়ে পড়ে রাজ্যের মানুষের কাছে। এর আগে ২০১৯ সালের ব্রিগেডে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ব্রিগেডের বক্তাদের তালিকায় নাম ছিল না বুদ্ধদেব বাবুর। কিন্তু সবাইকে অবাক করে অক্সিজেনের নল নাকে লাগিয়ে ব্রিগেডে আসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে দেখা যাক এবারও আগের বারের মতো মিরাকেল ঘটিয়ে ব্রিগেডে তাকে দেখা যায় কিনা।
তৃণমূল এবং বিজেপি তাদের প্রচারে কোনরকম খামতি রাখছে না। বিধানসভা ভোটের আগে তাই এবার শক্তি দেখানোর পালা পশ্চিমবঙ্গের নতুন ত্রিফলা জোটের। আশা করা হচ্ছে প্রচুর মানুষের জমায়েত হবে আজকের ব্রিগেডে। বড় বড় রাজনৈতিক আলোচকদের মতে ব্রিগেডের উপরে নির্ভর করে অনেকটাই শক্তি বোঝা যায় বামেদের।
লোকসভা ভোটের পরে বামেদের জোটকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও বিধানসভা ভোটের আগে আইএসএফ এর জুড়ে যাওয়া এই জোটের সাথে ভোটের অংকের সমীকরণে নতুন বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে শাসকদলের বেশকিছু শতাংশ ভোট চলে আসতে পারে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ভোট ব্যাংকে।
সিপিআইএম নেতা মোহাম্মদ সেলিম জানিয়েছিলেন “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শুধু একটি নাম নয়। তিনি একজন এমন নেতা যার কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকে বহু বাম কর্মী ও সমর্থকরা। তিনি ব্রিগেড সমাবেশে হলে আমাদের কাছে অত্যন্ত খুশির খবর হবে।” কিন্তু গতকাল বিকেলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে এবার আর ব্রিগেডে আসা হচ্ছে না বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।