পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনার জেরে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই বন্ধ ট্রেন পরিষেবা। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বাস মালিকরা। এই করোনা পরিস্থিতিতে বাসের ভাড়া না বাড়িয়ে শুধুমাত্র বিকল্প ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবিতেই মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি বলে জানান বাস মালিকরা।
করোনার প্রথম ধাক্কায় পরিস্থিতি যখন সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে গিয়েছিল। সেই সময় অনেক বাস কর্মী কাজ হারিয়ে সব্জি বিক্রির পথ অবলম্বন করেছিল। কিন্তু অনেকেরই সেই সামর্থটুকুও ছিল না। ফলে অনেক বাস কর্মীর পরিবারই দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হয়েছিল।
পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হলে সকলে ফের কাজ-কর্মে যোগ দান করলেও, তাদের অবস্থা পুরো ঠিক না হলেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকেই যাচ্ছিল। এমত অবস্থায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ফের অবস্থা বেসামাল করে দেয়। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এর আঘাতে ফের চারিদিকে লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এই অবস্থায় বেশীরভাগ বাস মালিকদের দাবী যে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না করে অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থা নিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, বাসের বেশীর ভাগ কর্মীরাই অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী। তাছাড়া সাধারণ নিত্যযাত্রীদের কথা ভেবে তারা বাস ভাড়া বাড়াতে চাইছেন না।
অন্যদিকে বাস মালিকরা জ্বালানীকে জিএসটি এর অন্তর্ভুক্ত করণের দিকে জোর দিচ্ছে। বাস মালিকদের দাবী জ্বালানী যদি জিএসটি এর অন্তর্ভুক্ত হয় তবে জ্বালানীর দাম অনেকটাই কমবে। যদিও এই বিষয় রাজ্য সরকারের মনভাব অনেকটা আলাদা।
জ্বালানীতে জিএসটি লাগু হলে রাজ্য সরকারের রাজস্বে আয় অনেকটাই কমে যাবে। এমত অবস্থায় জ্বালানীতে জিএসটি লাগু করণের দাবিতে বাস মালিকরা কতোটা রাজ্য সরকারের সমর্থন পাবে সেটাই দেখার। যদিও এই দাবীতে বাস মালিকদের সংগঠন আগামী ১৭ ই মে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্নায় বসবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা।