পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ পঞ্চ দফার ভোটকে কেন্দ্র করেই রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। আজ বর্ধমান-এ সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত কয়েকদিন ধরেই অমিত শাহ বলেই চলেছিলেন ২০০ -র বেশি আসন জয় করে বাংলায় নতুন সরকার গড়বে গেরুয়া শিবির। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলাতেই সেই সুর পাওয়া গেল। বর্ধমানের সভামঞ্চ থেকে মোদী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় নির্বাচনী ভোটগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে তারই মধ্যে ৪ দফার ভোট হয়ে গিয়েছে এবং আরও ৪ দফার ভোট গ্রহণ বাকি রয়েছে।
প্রথম চার দফার ভোট গ্রহণ পর্বে ১৩৫ টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ১৩৫ টি আসনের মধ্যে ১০০ টি আসন বিজেপি জিতবে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ বর্ধমানের সভামঞ্চ থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তোপ দেগে বলেন, ‘বর্ধমানের দুটি জিনিস প্রসিদ্ধ। চাল আর মিহিদানা। বর্ধমানের সবকিছুতেই মিষ্টিত্ব আছে। কিন্তু দিদি কি মিহিদানা পছন্দ করেন না? না হলে দিদির মধ্যে এত তিক্ততা কেন? দিদি আসলে বুঝতে পারছেন বাংলায় হার নিশ্চিত।’
এরপর তিনি আরও বলেন, “আপনাকে তো রাগ দেখাতে হবে, তাহলে মোদীর উপর দেখান। আপনি গালি দিতে চান, তাহলে মোদীকে গালি দিন। তবে দিদি কান খুলে শুনে রাখুন, ‘বাংলার গর্ব, বাংলার পরিচিতি’ কে অপমান করবেন না। আপনার এই অহংকার বাংলার মানুষ আর সহ্য করবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে ফুটবল দিয়ে বিজেপিকে বোল্ড আউট করার কথা জানিয়েছে এমনকি মাঠ থেকে বিদায় করার কথা প্রকাশ করেছে তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গে চার দফার ভোট হয়ে গিয়েছে, এখনো চার দফার ভোট গ্রহণ বাকি। প্রথম চার দফাতেই তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। বাকি চার দফায় পুরো সাফ হয়ে যাবে।”
এরপরে তিনি আরও বলেন, “দিদি আপনি খেলার কথা বলেছিলেন। দিদি আপনার সঙ্গে খেলা হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষ আপনাকে ক্লিন বোল্ড করে ছেড়ে দিয়েছে। প্রথম চার দফার ভোটে বাংলার মানুষ এমন চার-ছক্কা হাঁকিয়েছে যে বিজেপির সেঞ্চুরি হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার রাজ্য ছাড়ছেন এবং আর কখনোই তিনি ফিরে আসবেন না এমনটাই বলেছেন মোদী। তিনি বলেন, “যেভাবে কংগ্রেস বাংলা থেকে চলে যাওয়ার পর আর কখনো ফিরে আসেনি। তারপর বামও বাংলা ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফেরেনি। ঠিক তেমনই দিদি আপনিও যে এবার চলে যাবেন, আর ফিরবেন না। দিদির পুরো দলকে মাঠছাড়া করবে বাংলার মানুষ।”