sayani ghosh, mithun chakraborty, sukanta majumdar, BJP, TMC, পশ্চিমবঙ্গ, সায়নী ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি, তৃনমূল
'জাত-গোখরোকে' ঠেকাতে বাংলার ঘরে ঘরে রয়েছে কার্বলিক অ্যাসিড, ঝাঁঝালো আক্রমণ সায়নীর | ছবি - সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই জেলায় জেলায় চলছে বিভিন্ন সভা। সেই কর্মসূচি নিয়েই বর্তমানে দক্ষিণবঙ্গ জেলা সফর করছেন অভিনেতা তথা বিজেপি কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। গত বিধানসভা ভোটে নিজেকে ‘জাত গোখরো’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এবার সেই ভাষণকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, জাত গোখরোকে ঠেকাতে বাংলার ঘরে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি রয়েছে।

অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীর নাম না উল্লেখ করে তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ ঝাঝালো ভাষায় আক্রমণ হানেন। তিনি বলেন, এক সময় ছিল নকশাল। পরে বামেদের দলে যোগ দিয়েছিল জ্যোতি বসুকে কাকু বলে। এরপর বোন সম্বোধন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখন দিল্লিতে গিয়ে বাবা বলছে নরেন্দ্র মোদীকে।

গত শনিবার পশ্চিম-বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর অঞ্চলের ঝাঁঝরাতে বিজেপির একটি জনসভা আয়োজিত হয়েছিল। সেই জনসভায় তৃণমূল-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি জনসভায় বলেন, অবাধ নির্বাচন যদি হয় তাহলে শুধু পঞ্চায়েত নয়, কালকেই গোটা পশ্চিমবাংলায় বিজেপি সরকার গড়বে। এই জনসভায় মুখ্য-বক্তা হিসাবে মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়াও ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিশিষ্ট জেলা নেতৃত্বগণ।

সায়নী ঘোষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির প্রভাবশালী নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০২১ সালে ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন থেকেই সন্ত্রাস চলেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর। তৃনমূল বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে, চাকরি কেড়ে নেওয়া এমনকি মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দায়ের করিয়েছে। আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন। বিজেপির স্থান এখন এমন যে তারা সন্ত্রাসের মোকাবিলায় সক্ষম। আমাদের কর্মীদের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, রাজ্যের মানুষ এখন বিজেপির পক্ষে রয়েছে। এর প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া যাবে পঞ্চায়েত ভোটে।

সায়নী ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেন, আগে ২ কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করুক। জনগনের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দিক। তারপর মানুষকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ২ হাজার করে টাকা দেবে।