করোনা ভাইরাস, সিবিআই, নিজাম প্যালেস, নারদা কাণ্ড
চীটড়- শোঞড়ীহীট

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ সকাল থেকে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেপ্তারি ঘিরে। সকাল থেকেই নিজাম প্যালেসের সামনে ধর্নায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে এবারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করল সিবিআই।

২০১৬ সালে রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল নারদা কাণ্ড। সেই সময় এক স্টিং ফুটেজে দেখা যায় যে কোনও এক অচেনা ব্যক্তির হাত থেকে টাকা নিচ্ছে তৃণমূলের কিছু হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব। তার মধ্যে ছিলেন একের পর এক নেতা মন্ত্রী এবং বিধায়ক। সকলের মধ্যে ছিলেন আজ গ্রেপ্তার হওয়া চার হেভিওয়েট নেতা।

সিবিআই এর বিবৃতি থেকে জানা যায় যে, পাঁচ বছর ধরে তদন্ত চালানোর পর বিচার ব্যবস্থার অনুমতি চায় সিবিআই। সেই মত গত ৭ ই মে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সিবিআইকে তদন্ত চালানোর অনুমতি দিয়ে দেয়। সেই ভিত্তিতেই এগিয়েছে পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া এবং সেই অনুযায়ী চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই।

সেই মত আজ সকালেই চার মন্ত্রী এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে জেরা করার জন্য নিজাম প্যালেসে তলব করেন সিবিআই। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চ্যাটার্জি, মদন মিত্র ছাড়াও এই তলবে নাম রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার। সিবিআই এর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, নারদা কাণ্ডে  স্টিং অপারেশান এর ভিত্তিতে এই তলব।

এই ঘটনা ঘিরে তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ একেবারে অন্য মাত্রা নেয়। এই বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন যে, করোনা সামলাতে যেহেতু চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেই কারণের সত্য থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা।