পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ- এবার CBI এর নজরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী। সিবিআই সূত্রের থেকে জানা গেছে যে, মঙ্গলবার অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে একটি খুনের সম্পর্কিত মামলায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে CBI। দেবরাজ চক্রবর্তী নিজেও বিধাননগরের তৃণমূল (TMC)কাউন্সিলর এবং পৌরসভার মেয়র পারিষদও বটে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে বাগুইআটির সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস নামে এক যুবকের নিজের বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রসেনজিৎ দাসের মৃতদেহ সর্বপ্রথম দেখতে পান তার বাবা-মা। তৎক্ষণাৎ তার বাবা-মা পুলিশকে জানান এবং তাদের অনুমান ছেলের হাতে সিগারেটের ছ্যাকার দাগ ছিল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান প্রসেনজিৎকে তার চেনা পরিচিতর মধ্যে কেউ ঘরে ঢুকে খুন করেছে। প্রসেনজিৎ এর বয়স ছিল হয়েছিল ৩০ বছর এবং তিনি পেশায় ইমারত তৈরির সামগ্রী সরবরাহ করতেন। CBI এর ভোটের তদন্তের মামলা থেকে নজর সরে যাওয়ার পর তাদের নজরে আসে বাগুইহাটি সুকান্ত পল্লী এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের ফাইল।
CBI সূত্রে জানা গেছে যে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তৃণমূলের তারকা বিধায়ক দেবরাজ চক্রবর্তীকে CBI এর কাছে হাজিরা দেওয়ার মূল কারণ হল, দেবরাজ চক্রবর্তী প্রসেনজিৎ দাসকে কতটা চিনতেন এবং তার কাছে কতটা তথ্য রয়েছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে সিবিআই। এছাড়াও এই বিষয়ে অন্যান্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।
দীর্ঘদিন রাজনীতির সাথে যুক্ত দেবরাজ চক্রবর্তী। তিনি প্রথমত কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং তৃণমূলের যুবনেতা হিসাবে নির্বাচিত হন। তাছাড়াও দেবরাজ চক্রবর্তী স্ত্রী অদিতি মুন্সিও গায়িকা হিসেবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসাবে খুব নাম ডাক রয়েছে। দেবরাজ চক্রবর্তী এই মুহূর্তে আপাতত বিধাননগর পৌরনিগমের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে আজ তাকে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।