west bengal, omar sekh, biswajit banerjee, bolpur councillor, CBI, cow smuggling, cattle smuggling, পশ্চিমবঙ্গ, বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওমর শেখ, বোলপুরের দুই কাউন্সিলর, সিবিআই, গরু-পাচার কাণ্ড
ডাক পড়ল বোলপুরের দুই কাউন্সিলরের, গরু পাচার কাণ্ডে চিরুনি তল্লাশি সিবিআইয়ের

পশ্চিমবঙ্গ ডিজিটাল ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের পর এবার একাধিক সূত্র ধরে চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে সিবিআই। শুধুমাত্র সমস্যার মাথা এবং গোড়াই নয় ডালপালা ধরে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গত বৃহস্পতিবার বোলপুর এলাকায় দু-জন কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে।

ওই সিবিআই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ। মূলত বেআইনি কোন সম্পত্তি আছে কিনা সেই তথ্যই জোগাড় করার জন্যই এই পদক্ষেপ। অনুব্রত মণ্ডলের জেলে যাওয়ার পর থেকেই সিবিআই, বিভিন্ন সূত্র ধরে গরু পাচার মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। বিভিন্ন তৃণমূল সাংসদ এবং তাদের পরিবার পরিজনদের ব্যাংক একাউন্ট, জমিজমা এবং সম্পত্তির সমগ্র তথ্য সম্পর্কে খবরাখবর নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।

বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওমর শেখের প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। বিপুল সংখ্যক জমিজমা  এবং অপরিসীম ইনকামের হদিশ মিলেছে। এই দুই তৃণমূল কর্মকর্তার নামে এত সম্পত্তির উৎসের ব্যাপারটি সন্দেহের চোখে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর। এই দুই ব্যক্তির নিত্যনৈমিত্তিক কর্মসূচি এবং দলীয় কাজকর্মের সমস্ত রকম তথ্য যাচাই করা শুরু করা বলেই সিবিআই সূত্রের খবর।

সিবিআই এর ধারণা, গরু পাচার কাণ্ডে এদের কোনও না কোনওভাবে হাত রয়েছে। কিভাবে এরা বেআইনি কারবারের সাথে যুক্ত, সেটাই তদন্ত করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তরের ধারণা, গরু পাচার থেকে আগত টাকায় এদের নামে বিভিন্ন স্থানে জমিজমা অথবা সম্পত্তি কেনা আছে আর এই রহস্য উদঘাটনের জন্য বোলপুরে ক্যাম্প করে তদন্তে নেমেছে তারা।

জানা গিয়েছে যে, আজ অনুব্রত মণ্ডলের জামাইবাবু কমলাকান্ত ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির তরফ থেকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বিশ্বজিৎ এবং ওমর শেখ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে যুক্ত করার পর থেকেই, এদের প্রভাব অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় লোকজনদের। এছাড়া সম্পত্তিরও বৃদ্ধিও ঘটেছে। এইভাবে দুই তৃণমূল কর্মকর্তাকে সিবিআইয়ের তলব করার ব্যাপারটিকে বিজেপির কর্মকাণ্ড বলে মনে করছেন তৃণমূল সর্মথকরা।