করোনা ভাইরাস, শঙ্খ ঘোষ, নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
চিত্র- সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গ ডেস্কঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। আজ বুধবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি নিজের বাড়িতেই।

গত ১২ ই এপ্রিল থেকে জ্বর ছিল কবি শঙ্খ ঘোষের। ১৪ ই এপ্রিল এ তার কোভিড টেস্ট করানো হয় এবং রিপোর্টে তার কোভিড পজিটিভ আসে। যদিও তার হাসপাতালে যাওয়ায় আপত্তি ছিল। সেই কারণে বাড়িতেই আইসোলেশন এর ব্যবস্থা করেছিলেন তার পরিজনেরা। একদিকে বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের ফলে আরও দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। বুধবার ভোরে তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোন প্রকার লাভ হয়নি। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বুধবার সকাল আটটা নাগাদ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিল কবির প্রাণ।

শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোকোস্তব্ধ গোটা বাংলা। কবির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “বিশিষ্ট কবি, সাহিত্য সমালোচক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ সকালে কলকাতায় নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শঙ্খবাবু যাদবপুর, দিল্লি ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপনা করেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ’, ‘ধূম লেগেছে হৃদকমলে’, ‘এ আমির আবরণ’। জ্ঞানপীঠ, পদ্মভূষণ, দেশিকোত্তম, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার-সহ অজস্র সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন। শঙ্খবাবুর সাথে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সাহিত্য জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি প্রয়াত শঙ্খ ঘোষের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

অন্যদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার টুইটার হ্যান্ডেল এর মাধ্যমে কবির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “বাংলা ও ভারতীয় সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্যে শঙখ ঘোষ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর রচনা বহুপঠিত এবং শ্রদ্ধেয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকাভিভূত। তাঁর পরিবার ও স্বজনদের জানাই সমবেদনা। ওঁ শান্তি।”